বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবার রাত দেড় টার পর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল।
মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার এলাকার মোস্তাকিম আজিজ জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে বিকট শব্দও শুনেছেন তারা। সেটি মর্টার শেলের শব্দ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন, সীমান্তের অপর প্রান্তে যেখানে গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে সেখানে রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির দুটি ক্যাম্প রয়েছে। ‘রাইট’ ও ‘লেফট’ ক্যাম্প নামে পরিচিত ক্যাম্পগুলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তার কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আরাকান আর্মি।
তুমব্রু বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “দীর্ঘদিন পর ফের সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।”
একসাথে ৪০/৫০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে থাকার কথা জানান মোহাম্মদ শফি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নিকট বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা অবহত আছি। সীমান্তের যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিজিবি কে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে (৩০০-৩৫০ গজ) এর ভেতর নিজেদের মধ্যে গত রাতে কিছুগুলো বিনিময় হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটা সে ঘটনায় বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়েনি।”
আরকান আর্মির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী অন্য কোনো সংগঠন আরসা-আরএসওর মধ্যে গোলাগুলি হতে পারে-এমন ধারণা করার কথাও সেসময় জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরকান আর্মি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছিলো। তারপর থেকে এই অঞ্চলে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।












