বান্দরবানের ঘুমধুম থেকে ফিল্মস্টাইলে অপহরণ হওয়া কিশোর নাজমুল ইসলামকে (১৬) অবশেষে ৫ দিন পর কক্সবাজেরর কুতুপালং থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে কুতুপালং বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত এ কিশোরকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫। নাজমুল নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আদর্শ গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন অপহরণকারী তাকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের ইয়াহিয়া গার্ডেনের ভেতর কুমির ফার্মের সামনে থেকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। এ সময় তাকে নিয়মিত মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে তার পরিবারের মোবাইল নম্বর নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী দল। নাজমুলের পরিবার দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। র্যাব-১৫ এর কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাজমুলের পিতা মো. হোসেন জানান, তাদের অভিযোগের ১০ ঘণ্টার মাথায় র্যাব-১৫ প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং বাজারের মেসার্স চৌধুরী ফিলিং স্টেশনের দক্ষিণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১টি বস্তি থেকে অপহৃত মো. নাজমুল ইসলামকে উদ্ধার করে তারা। এ সময় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৫-৬ জন অজ্ঞাত অপহরণকারী কৌশলে পালিয়ে যায়।
উদ্ধার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল জানান, তাকে অপহরণের পর প্রতিদিন মারধর করা হয়। মাঝে মাঝে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, উদ্ধারের পর চিকিৎসা শেষে নাজমুলকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। পলাতক অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব-১৫ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনজার্জ মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।