ঘাতক সুজনের সঙ্গে আসামি মা, দুই বোন ও স্ত্রী

চকরিয়ায় জামায়াত নেতা খুনের ঘটনায় মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা আরিফ হোসেন খুনের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাঁচজনকে এজাহার নামীয় এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে গতকাল বুধবার সকালে এই মামলা রুজু করেন ছোট ভাই আরমান হোসেন।

এজাহার নামীয় পাঁচ আসামি হলেনউপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাছিমার কাটাস্থ সিকদার পাড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন, তার মা ফাতেমা বেগম, বোন রেশমী আক্তার ও রচনা আক্তার এবং সুজনের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সুমাইয়া। পুলিশ জানিয়েছেরুজুকৃত মামলার এজাহার নামীয় সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছেখুনের শিকার আরিফ ও তার জেঠাতো ভাই খাইরুদ্দিন গত মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ছোঁয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে সওদা করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের সড়কে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাজ্জাদ হোসেন সুজন ও অপরাপর আসামিরা আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আরিফ মারা যায়। পরে আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত খাইরুদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আরিফ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলায় এজাহার নামীয় সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রধান আসামি সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। ওসি বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে এবং প্রধান আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, সেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন : শ্রম উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধটেরিবাজারে দোকানের সাইনবোর্ডে আগুন