চন্দনাইশে চাঞ্চল্যকর কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক নাজিম উদ্দীনকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম আরজুর বাবা কৃষক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ঘাতক নাজিম উদ্দীন (৩০)কে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম তামান্না নাহিদ ইয়া প্রকাশ আরজু আক্তার (১৯) তার ২য় কন্যা সন্তান। সে পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৩ এপ্রিল তার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৪ এপ্রিল বিকেলে নাজিম উদ্দিন (৩০) সেখানে যায়। সেখানে আরজুকে দেখে পাষন্ড নাজিমের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের বাজে ইংগিত করে। ওইদিন নাজিম চলে যাওয়ার পর আরজু বিষয়টি তার নানা–নানীকে জানালেও সম্পর্কে তারা মামা–ভাগ্নি হওয়ায় বিষয়টি আমলে নেননি কেউ। গত ৮ এপ্রিল মেয়ে রাতের খাবার শেষে তার নানীর সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমান ১টার সময় নাজিম উদ্দীন ওই বাড়িতে আসে। পরে রাত ২টার দিকে আমার শ্বশুর আরজুকে টয়লেটের ভিতরে মুখে ওড়না গুঁজে দেওয়া এবং গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন। এসময় নাজিম আমার শ্বশুরকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকার শুনে আমার শাশুড়ি তাকে বাঁচাতে আসলে তারও গলা কেটে দেয়া হয়। পরে তাদের শোর–চিৎকারে আত্মীয়–স্বজনরা এগিয়ে আসলে নাজিম দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি এজাহারে আরো উল্লেখ করেন তার মেয়ে আরজু আক্তার (১৯) বসতঘর সংলগ্ন টয়লেটে গেলে বিবাদী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় মেয়ে বাধা দিলে তাকে মুখে ওড়না গুঁজে দিয়ে ও গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং আমার শ্বশুর শাশুড়িকেও (নাজিমের খালা–খালু) কুপিয়ে হত্যা করতে চায়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান জানান, ভিকটিমের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নাজিম উদ্দীনকে আসামি করে হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলায় দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার আসামি নাজিম উদ্দীনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।