নগরীর খালে ভেসে আসা লাশটির পরিচয় পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। কোতোয়ালী থানার এসআই বাহার মিয়া বলেন, লাশটি আবদুর রহিম নামে এক যুবকের। ভোলার লালমোহন উপজেলায় তার বাড়ি; চট্টগ্রামে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। রহিমের ফুফাত ভাই মো. নোমান বলেন, ঘাড় ও পেটের কাটা দাগ দেখে তারা রহিমের লাশ চিনতে পারেন। খবর বিডিনিউজের।
নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় গত শনিবার খালে ভেসে আসে রহিমের লাশ। উদ্ধারের পর এর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন কোতোয়ালী থানার এসআই বাহার মিয়া। তিনি বলেন, লাশটি পানিতে ফুলে যায়। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে জখমের দাগ ছিল না। পানিতে তার হাতগুলো বাঁকা হয়ে থাকায় মনে হয়েছিল হাত বাঁধা। কিন্তু পানি থেকে লাশ তোলার পর দেখা গেছে বাঁধা ছিল না। বাহার মিয়া বলেন, ‘আবদুর রহিম তার ফুফাত ভাইয়ের অধীনে চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১ মে একটি ফোন পেয়ে তিনি সাইট (যে নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করেন) থেকে বের হয়েছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।’ এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, সেটা জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজন বলে জানান এসআই বাহার।
রহিমের ফুফাত ভাই নোমান বলেন, ২০০৮ সালে রহিম তার সঙ্গে চট্টগ্রাম আসেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার অধীনেই কাজ করেন। চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকায় অলিউল্লাহ হাউজিং সোসাইটির একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন।
নোমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ফোন দিয়েছিলাম ছাদ ঢালাইয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য। তার দুটি নম্বরের একটি নম্বরেও সে ফোন ধরেনি। কখনও কখনও ফোন কেটে দিয়েছে, আবার কখনও ফোন বন্ধ করে আবার খুলেছে। এভাবে শুক্রবার পর্যন্ত তার ফোন খোলা পাওয়া গেছে। নোমান বলেন, ‘রহিমের খোঁজ না পেয়ে আমি তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, রহিম বুধবার সকালে পাঁচ হাজার এবং সন্ধ্যায় ১২ হাজার টাকা আনিয়েছিল। আবার সাইট খরচের জন্য আমারও কিছু টাকা তার কাছে ছিল। সেগুলো সব সে খরচ করে ফেলেছে। নোমান বলেন, ‘পানিতে লাশ ফুলে চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। বছর কয়েক আগে রহিমের ঘাড়ে একটা অপারেশন হয়েছিল। সেখানে একটা মোটা দাগ আছে। আবার ২০১৪ সালে সাইটে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে রহিমের পেটে লোহার রড ঢুকে গিয়েছিল, সেখানেও দুইটা দাগ আছে। ঘাড় ও পেটের দাগগুলো দেখে মূলত আমরা রহিমের লাশ শনাক্ত করি।’