মীরসরাইয়ে পরকীয়ার টানে যুবকের হাত ধরে দুই সন্তানের জননী উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গৃহবধূ উক্ত গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. মিজানুল ইসলামের স্ত্রী। এ সময় তিনি দেড় বছরের শিশু সন্তান, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা সাথে নিয়ে যান। এ বিষয়ে গৃহবধূ ও মো. আকবর (৩২) নামে একজনকে অভিযুক্ত করে মীরসরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৯ বছর পূর্বে দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র দুবাই প্রবাসী মিজানুল ইসলামের সাথে পাশ্ববর্তী খৈয়াছরা ইউনিয়নের পূর্ব মসজিদিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দৌলার একমাত্র মেয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৭ বছরের একটি ছেলে ও দেড় বছরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত তিন মাস যাবৎ গৃহবধূর স্বামী মিজানুল ছুটিতে আসে। বিদেশে থাকা অবস্থায় গৃহবধূর দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে মো. আকবর তাদের ঘরে আসা যাওয়া করতো। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই নিয়ে স্বামী ও তার পরিবার গৃহবধূকে বার বার নিষেধ করলেও সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্বামী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি আমার শিশুসন্তানসহ স্বর্ণালংকার ফিরে পেতে চাই। পাশাপাশি স্ত্রীর উপযুক্ত বিচারও দাবি করছি।
গৃহবধূর পিতা সিরাজউদ্দৌলা বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে সুখের ঠিকানা ছেড়ে বখাটে আকবরের সাথে পালিয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি আমার মেয়েকে চাই না। আমার নাতনীকে ফেরত পেতে চাই।
এ ব্যাপারে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। একটা পরিবারের তিলে তিলে গড়া সম্মান ও স্বপ্ন সব এক ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়। যা কাম্য নয়।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, পরকীয়ার টানে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে উপ–পরিদর্শক মো. রাকিবুল হাসানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই এর রহস্য উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।












