আন্দ্রে ফ্লেচার ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৭ বল হাতে থাকতেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারালো খুলনা টাইগার্স।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম ম্যাচে ঘরের মাঠে নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটের ব্যবধানে এই হার।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ওভারেই ১ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন ওপেনার কেনার লুইস। এরপর ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকের সঙ্গে ৫৩ রানের দারুণ জুটি গড়েন আফিফ হোসাইন। উইল জ্যাক ২৮ রানে আউট হলেও আফিফ থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে পঞ্চদশ ওভারে বিদায় নেন আফিফ।
আফিফের বিদায়ের পর বিপর্যয়ে পড়ে দল। ব্যাট করতে নেমে সাব্বির রহমান ৪, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ৬, বেনি হাওয়েল ৫, শামীম হোসেন ২ ও রেজাউর রহমান আউট হন ৭ রানে। শেষদিকে নাঈমের ১৮ বলে অপরাজিত ২১ ও শরীফুল ইসলামের ৮ বলে ৭ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪৩ রান। খুলনার হয়ে থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। বাকি সব বোলার ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকার। মাত্র ১ রানে শরিফুলের বলে জ্যাকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর ব্যাট করতে নামা রনি তালুকদারকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। অষ্টম ওভারে ১৭ রান করে রনি বিদায় নিলে ফ্লেচারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ ব্যাট করতে থাকা ফ্লেচার তুলে নেন অর্ধশতক।
মুশফিকের সঙ্গে ৩৯ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে মিরাজের বলে উইকেট হারান তিনি। ৪৭ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৮ রান সংগ্রহ করে সাঝঘরে ফেরেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটার।
শেষদিকে এসে ব্যাট করতে নামা সেকুগে প্রসন্ন খেলেন ক্যামিও ইনিংস। ১৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেওয়ার আগে দলের জয় সহজ করে দেন।
অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই খুলনা টাইগার্সের জয় নিশ্চিত করেন। ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩০ বলে ৪৪ রান করেন বাংলাদেশের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন অধিনায়ক মিরাজ। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ও নাসুম।