ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা জরুরি

| সোমবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবছর ইংরেজি মাসের শেষের দিকে আমাদের দেশে শুরু হয় শীতকাল। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।শীতকাল একটি শ্রেণির মানুষের কাছে উপভোগ্য হলেও কারো কাছে আবার তা দুশ্চিন্তার। এই সময়ে কিছু কিছু শ্রেণি পেশার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। শীতকালে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে চারপাশ।কখনো কখনো এতই প্রকট হয়, যার ফলে স্বল্প দূরত্বেও কোনো কিছু স্পষ্টভাবে দেখা যায় না।গভীর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সারাদেশ জুড়ে দূরপাল্লার বাস,ট্রাক,কাভার্ড ভ্যান,এম্বুলেন্স ইত্যাদি চলাচল করে।ঘন কুয়াশায় রাস্তার লাইটগুলোর আলোক স্বল্পতা কিংবা রাস্তার মোড়ের সঠিক দিকনির্দেশনা বুঝতে না পেরে বিভিন্ন যানবাহন খাদে পড়ে যায়।এমনকি প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটে। যা প্রতিবছরই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
এছাড়াও শীতকালে দুষ্কৃতকারীদের বিভিন্ন গ্রুপ তাদের উদ্দেশ্য হাসিলে অধিক তৎপর থাকে। ঘন কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার যাত্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু নির্জন রাস্তায় ছোট ছোট প্রাইভেট কার গুলোকে ছিনতাইকারীদের মুখোমুখি হতে হয়।কখনো বা হারাতে হয় সর্বস্ব।ফলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতকালে চলাচল করাটা বেশিই বিপজ্জনক। এ ক্ষেত্রে ড্রাইভারদের অধিক সচেতন থাকা দরকার। দূরপাল্লার যাত্রা শুরুর পূর্বে গাড়ির লাইটগুলো ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। ওভারটেকিংয়ের মনোভাব পরিহার করতে হবে কারণ ঘন কুয়াশায় অপর পাশ থেকে আসা গাড়ি ঠিক ভাবে দেখা যায় না।তবে চালকদের পথ চলা বেশি দুস্কর হলে রাস্তায় যাত্রা বিরতি দিতে হবে। পাশাপাশি চালকদের নিকট ঘন কুয়াশায় সতর্কতা সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি বাড়াতে হবে জনসচেতনতাও।
মামুন হোসেন আগুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ : জ্যোতির্ময় মনীষা
পরবর্তী নিবন্ধসম্পর্কের নানান দিক- ২