ঘন কুয়াশা থাকবে চট্টগ্রামে

ঠান্ডা বাতাসে বাড়বে শীতের অনুভূতি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েক জায়গায় শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তবে এ শৈত্যপ্রবাহ চট্টগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাবে না। যদিও এসময় ঘন কুয়াশা এবং ঠাণ্ডা বাতাস থাকবে চট্টগ্রামে। ফলে বাড়বে শীত অনুভূতি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে চট্টগ্রামে গতকাল দুপুর প্রায় ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি এদিন। ফলে শীত অনুভূতি তেমন ছিল না। আজও একই পরিস্থিতি থাকতে পারে পারে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী। আজাদীকে তিনি বলেন আগামীকাল (আজ) কুয়াশা থাকবে। কিন্তু ঠান্ডা কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কর্র্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ হবে না। কুয়াশা থাকবে এবং বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সে সাথে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। উত্তরউত্তরপূর্ব দিক হতে ঘণ্টায় ১২১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের আভাস আছে। অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে একটি থেকে তিনটি; আর এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশজুড়ে। ।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

গতকাল আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে তিন এবং দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলা শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

এদিকে গতকাল দেশে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। এছাড়া টেকনাফে সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রেটে লুকিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল মুখপোড়া ৮ হনুমান
পরবর্তী নিবন্ধবিপিএল বরণে প্রস্তুত চট্টগ্রাম