লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় গুলিবিদ্ধ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক গঠিত তদন্ত দল। গতকাল শনিবার সকালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে লিখিত জবানবন্দি নেন। এ সময় বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনায় নিরীহ মানুষকে মামলার আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
প্রধান বন সংরক্ষক গঠিত তদন্ত দলের আহ্বায়ক বন সংরক্ষক ক্রাইম কন্ট্রোলের পরিচালক জহির উদ্দিন আকন, সদস্য সরীসৃপবিদ সোহেল রানা ও সদস্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বলেন, বড়হাতিয়ায় বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিদের নামও উঠে এসেছে।
তদন্ত দলের সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, চুনতি বন কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ, সাতগড় বিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ ও হারবাং বিট কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা চাকফিরানী এলাকার দক্ষিণে ঘোনার বইন্না বিলের ধানক্ষেতে গুলিবিদ্ধ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বড়হাতিয়া বনবিট কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।