দুই দিন পরপর অভিযান চলে, পুনরায় নব উদ্যমে চালু হয় জুয়ার আসর। সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ের নিকটবর্তী নগরীর খুলশী থানাধীন ওয়াসার মোড়ের মুনতাসির টাওয়ারের ৭ম তলায় অবস্থিত পাহাড়তলী ক্লাবের চিত্র এটি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ ৩২ জন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে দু’জন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা।
মামলার কপিতে ৩২ জনের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এ দুজন হলেন, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান (৫০) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার কাছে বিশেষ কেউ নাই। অভিযানে ৩২ জন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩২ জনই সমান অপরাধে অপরাধী। কে কী করেন সেটা বিবেচ্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পুলিশ প্রশাসন এবং লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ক্লাবটি পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তার লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী উভয়ই কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী। ইতিপূর্বেও মিজানুর একবার এই জুয়ার আসর থেকেই গ্রেপ্তার হন। কিন্তু ক’দিন পর পুনরায় চালু হয় ক্লাবটিতে জুয়ার আসর এবং তা রমরমা ভাবে চলতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর আবুল হাসলাত মো. বেলাল বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় যে ঘটনায় ঘটে তার দায় আমার উপর বর্তায়। এরা দুজন আমার অনুসারী হতেই পারে। আমিওতো কারও না কারও অনুসারী। অনুসারী বলে সে কোথায় জুয়া খেলছে, কোথায় মদ খাচ্ছে তার দায়তো আমি নেবো না। আমার প্রশ্ন, প্রশাসনের নাকের ডগায় ক্লাবটিতে জুয়ার আসর কীভাবে চলছে? বারবার বন্ধ হচ্ছে, আবার চালু হচ্ছে। কাউন্সিলর বেলালের এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহ বলেন, “আই হ্যাভ নো কমেন্টস”।