বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে মঙ্গলবার রাত ৩টায় ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেখানে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও পরিবহন ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর বিডিনিউজের।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ মে ঢাকা সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী পদযাত্রা শেষে যাওয়ার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। গণপরিবহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস সৃষ্টি করেন। বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় এ্যানির রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসীম, ওমর ফারুক ফারুকী, আবুল কালাম খান।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ঘটনার দিন এ্যানি অন্য মামলায় আদালতে হাজির ছিলেন। ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।
এদিকে এ্যানি সব মামলায় জামিনে থাকার পরও তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জামিনে থাকার পরও তাকে বাসা থেকে গভীর রাতে ডাকাতের মত পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। তার মানে এসব করে সরকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। এভাবে গভীর রাতে কোনো নাগরিককে পুলিশ তুলে নিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড। আমি এর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ্যানির মুক্তি দাবি করছি।












