নগরীর বায়েজিদে গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা সিরিয়াল রেপিস্ট কিনা বা পূর্বে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা, তাদের প্রকৃত উদেশ্য কী ছিল, ঘটনায় আর কোনো ব্যক্তি জড়িত ছিল কিনা-এসব তথ্য জানতে চায় পুলিশ। এজন্য গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহানগর হাকিম আদালতের কাছে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গতকাল শনিবার আজাদীকে এসব বিষয় জানিয়েছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জঘন্য এ কাজ পূর্বে কখনো কারো সাথে করেছে কিনা, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল, ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কিনা, এসব বিষয় জানা প্রয়োজন। তাই গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে শুক্রবারই আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (আজ) এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত মুন্না নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করতে বায়েজিদের শেরশাহ কলোনির সরকারি কোয়ার্টার এলাকায় যান ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টসকর্মী। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত সাইফুর রহমান সুমন (২৮) ও মেহেদী হাসান জনি (৩২) ওই গার্মেন্টসকর্মী এবং তার সহকর্মী মুন্নাকে আটক করে। এক পর্যায়ে মুন্নাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। মার খেয়েও মুন্না পালিয়ে না গিয়ে কিছুদূর গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সাইফুর ও মেহেদী ওই গার্মেন্টসকর্মীকে জোর করে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় মো. আলম (২৫) নামে গ্রেপ্তারকৃত অপরজন বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। ধর্ষণ শেষে তারা মুন্নাকে ধরে এনে ওই নারীর পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে। লোকজন ডেকে এনে ছবিগুলো দেখিয়ে ওই গার্মেন্টসকর্মী অসামাজিক কাজ করতে এসেছে বলে অপবাদ দিতে থাকে। কিছুক্ষণ আটকে রেখে নাটক সাজানোর পর হুমকি ধমকি দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় সুমন, জনি ও আলম।
পুলিশ জানায়, ছাড়া পেয়ে মুন্না ও ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টসকর্মী রাত দেড়টার দিকে থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রসঙ্গত, সিরিয়াল ধর্ষকরা একটার পর একটা ধর্ষণ করে বেড়ায়। গত বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।