ঘর থেকে দু’পা ফেললে বান্ধব পাঠাগার। হাফপ্যান্ট পরার বয়সে বাড়ির পাশের পাঠাগারটি থেকে ডাক পাই ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করতে। কয়েকটি মাত্র সংলাপ। তারপরও দিনের পর দিন মহড়া দিয়ে মুখস্থ করেছি। মুখস্থ নয়, একেবারে ঠোঁটস্থ। মঞ্চায়নের কয়েকদিন আগে নেমে আসে বিপর্যয়। মিথ্যা মামলায় পাঠাগারের সহ–সভাপতি সুকুমার সর্ববিদ্যাকে গ্রেফতার করে। নাটকটি আর হয়নি। তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেল, ডাকঘরের যবনিকা আর উন্মোচন হয়নি। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ে স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত নাট্যানুষ্ঠানে বর্তমান ছাত্রদের প্রযোজিত নাটকে অভিনয়ের জন্য আবার ডাক আসে। বৃষ্টিজনিত কারণে নির্ধারিত দিন নাটক মঞ্চায়ন হয়নি। যে–দিন মঞ্চস্থ হলো, বিশাল মাঠের এককোণে হাতে গোণা কয়েকজন দর্শক আমার প্রথম অভিনীত নাটক উপভোগ করে। সারারাত খালি মাঠের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে রাতভর প্রথমবারের মতো অনেক বড়–বড় সংলাপ উচ্চারণ করেছি। যে–সব পরিস্থিতিতে মাঠ ভর্তি দর্শক বিরামহীন হাততালি দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবে বলে ভেবেছি; সে–রাতে সে–সব মুহূর্তে অতি কষ্টে শুনেছি, মাঠের প্রান্ত সীমানা থেকে হাততালির ক্ষীণ আওয়াজ। পরে জেনেছি, ওরা আর কেউ নয়, আমারই আত্মীয়–স্বজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে প্রতিনিধি নাট্যসম্প্রদায়ের সদস্য হয়েছিলাম। প্রদীপ দেওয়ানজী’র ‘রাকস’ নাটকের সূত্রধরের সংলাপ খুব কষ্ট করে মুখস্থ করেছি। ব্রুশিয়ারে আরেকজনের নামের পাশে আমার নাম শ্লেস দিয়ে ছাপাও হয়। আজ আর মনে নেই, সূত্রধরের সে–ই সংলাপগুলো উচ্চারণ করতে পাদপ্রদীপের সামনে কেন দাঁড়ানো হয়নি। তারপর? না, তারপর আর নয়। আর কোনোদিন পাদপ্রদীপের সামনে দাঁড়াইনি। তাই বলে নাটকের প্রতি ভালোবাসা কমেনি। সে ভালোবাসার টানে নাট্যকলা পড়তে গিয়েছিলাম— প্রথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরে রবীন্দ্র–ভারতীতে ভর্তি হই। পড়তে পারিনি, ফিরে আসতে হয়েছে।
কোথাও ঠাঁই না পেয়ে নাট্যবিষয়ে লেখালেখি শুরু করি। আজ পর্যন্ত যতগুলো নন–ফিকশন লেখা লিখেছি, এর অধিকাংশ নাট্যবিষয়ক। একাত্তর থেকে পরবর্তী সিকি শতকের স্মৃতির শহর চট্টগ্রামের গ্রুপথিয়েটারের খোঁজে ছিলাম। ভারতের গ্রুপথিয়েটারকে পাশ্চাত্য থিয়েটারের ‘পাশে এনে দাঁড়’ করাতে গিয়ে অশোক মুখোপাধ্যায়ের কাছে ‘বড় বেশি করে ধরা পড়ে তার জীর্ণ–মলিন বেশ, ধূসরতা।’ (দেশ, ১৮ জানুয়ারি ১৯৮৬)। এমন ‘জীর্ণ–মলিন বেশ, ধূসরতা’ চট্টগ্রামের গ্রুপথিয়েটারকেও আচ্ছন্ন করে রাখেনি?
একাত্তরের ১৫ মার্চ ‘শিল্পী–সাহিত্য–সংস্কৃতিসেবী প্রতিরোধ সংঘ’–এর অনুষ্ঠানের দিন লালদীঘি ছিল লোকেলোকারণ্য। এখানে পরিবেশিত হলো মমতাজউদ্দিনের ‘এবারের সংগ্রাম’। পরেরদিন নাটকটি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। শিল্পীরা ট্রাকে করে ঘুরে–ঘুরে পরিবেশন করল। এরমধ্যে মমতাজউদ্দিন ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নামে আরও একটি নাটক লিখলেন। ২৪ মার্চ মঞ্চায়ন হয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। নাটকটি দেখার জন্য ৮০হাজার দর্শক হয়েছিল। নাটক চলাকালীন সময়ে তাহের সোবাহান খবর নিয়ে এলেন, বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাচ্ছে পাকিস্তানি সৈন্যরা। বাধা দিচ্ছে জনগণ। পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলি চালাচ্ছে। খবরটি প্রচারের সঙ্গে–সঙ্গে দর্শকরা মিছিল করে ছুটে গেল চট্টগ্রাম বন্দরে। সংঘর্ষ বন্দর এলাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। সাগরিকা সিনেমা, এয়াকুব আলী এন্ড সন্সের সামনেও আর্মিরা বাঙালিদের উপর গুলি চালায়। শহিদ হয় ৪০জন। আহত হয় অনেকে।
সে–চেতনা থেকে স্বাধীনতার পর মমতাজউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেবু্রয়ারি চট্টগ্রামে আত্মপ্রকাশ করে থিয়েটার’৭৩। থিয়েটার’৭৩ জিয়া হায়দারের নির্দেশনায় জহির রায়হানের গল্প অবলম্বনে সদরুল পাশা’র ‘ম্যাসাকার,’ মমতাজউদ্দীনের লেখা ও নির্দেশনায় ‘স্পার্টাকাস বিষয়ক জটিলতা’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামে গ্রুপথিয়েটার চর্চার সূত্রপাত ঘটায়। সে–দিনের নাট্যজনদের একজন জিয়াউল হাসান কিসলু এখনও সক্রিয়। থিয়েটার’৭৩–এর ধারাবাহিকতায় নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনার নাটক প্রযোজনার মহানব্রতে অতঃপর ২৫টির অধিক নাট্যদল আত্মপ্রকাশ করে। শিল্পসম্মত নাট্যচর্চায় ঢাকার পরে চট্টগ্রাম। সে–অনুযায়ী পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। তারপরও স্মৃতির শহর চট্টগ্রামের নাট্যজগত তারুণ্যের মেধায় লালিত হয়েছে। সে–ই ঝকমকে তারুণ্য এসেছিল নানান শিল্প মাধ্যম থেকে। নাটক রচনা, অভিনয়, নির্দেশনা শুধু নয়, কারিগরি দিকগুলোতেও তারুণ্যের পদচারণার উজ্জ্বল চিহ্ন লক্ষিত হয়। এ–চিহ্ন ছিল আশার চিহ্ন। এদের রুচি ও শিক্ষা নতুনধারার নাটকের পক্ষেই আশাবাদ ব্যক্ত করে। এরই উজ্জ্বলদৃষ্টান্ত ১৯৭৬ সালে পরিবেশিত মিলন চৌধুরী রচিত গণায়নের ‘যায় দিন ফাগুন দিন’–এটি বাংলাদেশের প্রথম পথনাটক। প্রবীণ নাট্যজন সনজীব বড়ুয়া বলছেন, ‘এই পথনাটকে একুশে পদকপ্রাপ্ত ঢোলবাদক বিনয়বাঁশী ঢোল বাজিয়েছেন। গায়েনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নাট্যজন ও গায়ক শান্তনু বিশ্বাস। তাঁরা দুজনই আজ প্রয়াত। কিন্তু শান্তনুর গানের সুর আর বিনয়বাঁশীর ঢোল এখনো বুকে ধুকপুকের মতো বাজে।’
স্বাধীনতার পর শুরুতে নাটক রচনায় যে–উৎসাহ কাজ করেছিল, ক্রমেই তাতে ভাটা পড়ে। চট্টগ্রামের অনেক নাট্যকার পরবর্তীকালে নাটক রচনায় আর মনোযোগি ছিলেন না। নাট্যরচনার ক্ষেত্রে এ–অনিহার কারণ একাধিক। আসল নৈরাশ্য প্রযোজনা। নিয়মিত প্রদর্শনীর না হওয়াতে নাট্যকাররা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এছাড়া আছে অপ্রতুল প্রকাশনা। নাটকের পত্রিকার অভাবও এর জন্য কম দায়ী নয়। যদিও ‘গণায়ন’, ‘তির্যক’, ‘থিয়েটার ফ্রন্ট’, ‘প্রসেনিয়াম’, ‘মঞ্চ’ নামের নাট্য–পত্রিকাগুলো অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম ২৫ বছরে অনেক অনূদিত ও রূপান্তরিত নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে। থিয়েটার৭৩–এর ‘ব্যতিক্রম’, তির্যক নাট্যদলের ‘ভোমা’, ব্রেখট অবলম্বনে ‘সমাধান’, রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’, ‘বিসর্জন’, ‘রক্তকরবী’, মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, সফোক্লিসের ‘ইডিপাস’, জঁ–পল সার্ত্রের ‘দ্বাররুদ্ধ’, ফেস্টুন ড্রামা ‘স্মৃতি৭১’, অরিন্দমের ‘লালসালু’, ব্রেখটের রূপান্তরিত ‘রাইফেল’, ‘পাপপুণ্য’, ‘যামিনীর শেষ সংলাপ’, তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর ‘অ্যাজ ইউ লাইক ইট’, প্রতিনিধির রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের দেশ’, চট্টগ্রাম থিয়েটারের ‘রক্তের অক্ষর’, কালপুরুষের ‘জুলিয়াস সীজারের শেষ সাতদিন’, অঙ্গণের ‘আভ্যন্তরীণ খেলাধুলা’, ‘মহশে’, নান্দিকারের ‘জ্ঞান বৃক্ষের ফল’, কথকের ‘চোর’, মঞ্চমুকুটের ‘লেখাপড়া করে যে’, চট্টল থিয়েটারের ‘গাঁ গেরামের পালা’, প্রতিভাসের ‘কিনু কাহারের থেটার’, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের গোর্কির ‘মা’, রবীন্দ্রনাথের ‘চিরকুমার সভা’, আন্তন চেকভের গল্প অবলম্বনে বিপ্লব বালার ‘বিপ্লব গাঁথা’, গণায়নের ‘চর্যাপদের হরিণী’, ‘শেষ সংলাপ’সহ অনেক প্রযোজনা এখনও মনে আছে। এছাড়াও উল্লেখিত সময়ে চট্টগ্রামের গ্রুপথিয়েটার চর্চার ক্ষেত্রে আরও কিছু মঞ্চসফল প্রয়োজনা আছে। নাটকের ছবি দিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ক্যালেন্ডারে স্থান করে নিয়েছিল ‘শেষ সংলাপ’। গণায়ন চট্টগ্রামের গ্রুপথিয়েটারগুলোর মধ্যে প্রথম রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে নাটক ‘শেষের রাত্রি’ মঞ্চস্থ করে। এছাড়াও সক্রিয় ছিল নান্দীমূখ, রণশিঙ্গা, সমীকরণ থিয়েটার, লোকালয়, ধ্রুপদী, চন্দ্রবিন্দু, রূপকার, পদধ্বনি, মুক্তধারা, থিয়েটার ওয়ার্কশপ, নাট্যম, দেশকাল, লোক থিয়েটার, দ্বৈরথ থিয়েটার, থিয়েটার সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, থিয়েটার গণ–আন্দোলন, থিয়াট্রন রেপার্টরি। স্বাধীনতার পর প্রথম ২৫ বছরে সক্রিয় নাট্যজনদের মধ্যে মমতাজ উদ্দীন, জিয়া হায়দার, মিলন চৌধুরী, অনিল বন্দ্যোপাধায়, জাকারিয়া মামুন, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, শিশির দত্ত, মুনীর হেলাল, সদরুল পাশা, অমিত চন্দ, রবিউল আলম, আলী আনোয়ার, কামাল উদ্দীন নীলু, প্রদীপ দেওয়ানজী, আহমেদ ইকবাল হায়দার, দীপক চৌধুরী, আকবর রেজা, দিলারা জামান, জয়ন্তী বড়ুয়া, সাবিরা সুলতানা বীনা, ম. সাইফুল ইসলাম, শান্তনু বিশ্বাস, অলোক ঘোষ, মান্না সরকার, জাহাঙ্গীর কবির, ওবায়েদুল্লাহ, রণজিৎ রক্ষিত, দিব্যেন্দু উদাস, দীপ্তা রক্ষিত লাভলী, অভিজিৎ সেনগুপ্ত (অপু), অসীম দাশ, স্বপন ভট্টাচার্য্য, নূরজাহান চাকলাদার ইলোরা, সঞ্জীব বড়ুয়া, শুভ্রা বিশ্বাস, সাফায়াত খান, শেখ শওকত ইকবাল, হিন্দোল রায়, কঙ্কন দাশ, রুলিন রহমান, অভীক ওসমান, লিটন সিকদার, মোস্তফা কামাল যাত্রা, বাপ্পা চৌধুরী, সঞ্জীব রায়, রেজ্জাকুল হায়দার, সুচরিত দাশ খোকন, বিক্রম বীর চৌধুরী, শাহীনূর সারোয়ার, সৈয়দ মোহাম্মদ নাসিম, তৌহিদুল আলম, সুজিত দাশ বাপ্পি, শৈবাল সেন, ইসমাইল হোসেন, শাহীন চৌধুরী, আদুল হাদী, রেবেকা আশরাফ, হোসনে আরা প্রমুখের নাম এখনও ভুলিনি। যাঁদের নাম ভুলেছি, তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
১৯৭৭ সালে ২২ ডিসেম্বর সপ্তাহব্যাপী অরিন্দম আয়োজন করে ‘জাতীয় নাট্য উৎসব’। এটি ছিল বাংলাদেশে প্রথম গ্রুপথিয়েটার উৎসব। ১৯৭৯ সালে ১৫ ডিসেম্বর সপ্তাহব্যাপী চট্টগ্রামের নাট্যদলগুলো প্রথমবারের মতো সম্মিলিত উদ্যোগে নাট্য উৎসবের আয়োজন করে। এরপর অনেকবছর এ–উৎসবের আয়োজন হয়। এরপর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘চট্টগ্রাম গ্রুপথিয়েটার সমন্বয় পরিষদ’। অরিন্দম, তির্যক নাট্যদলের উৎসব বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রঙিন হতো। বছরে ছ’বার ঋতুভিত্তিক নাট্যমেলা হয়েছে। তির্যক নাট্যদলের ‘ছন্দ নাটক’ এখনও মনে পড়ে। এ–দেশে প্রথমবারের মতো তির্যক নাট্যদল ছয় শতাধিক বার পাদপ্রদীপের সামনে দাঁড়িয়েছে। এ–দলের ‘সমাধান’ নাটকের শততম প্রদর্শনী ছিল, চট্টগ্রামে কোনো নাটকের প্রথম শততম প্রদর্শনী। অরিন্দম মুক্তিযুদ্ধের নাট্যউৎসবের বর্ণিল আয়োজনের কথা এখনও স্মরণে আছে। ১৯৮৬ সালে অরিন্দম চট্টগ্রামের প্রথম দল হিসেবে দেশের বাইরে গিয়ে নাটক ‘লালসালু’ মঞ্চায়ন করে।
প্রথম থেকেই চট্টগ্রামের নাট্যকর্মীদের প্রচেষ্টা ছিল দর্শককে মঞ্চমুখী করা। দর্শকের অভাবে চট্টগ্রামে গ্রুপগুলো নিয়মিত নাটক করতে পারেনি। নাটকের টিকেট আত্মীয়–স্বজন–বন্ধু–বান্ধবের মধ্যে ‘পুশিং–সেইল’ করতে হয়েছে। ফলে নাট্যদলগুলো দর্শক সমস্যায় ভুগে। মঞ্চ সমস্যাও ছিল। অন্য–সাংস্কৃতিক প্রয়াসের মতই চট্টগ্রামের নাট্যদলগুলো শুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণিটিকেই টানতে পেরেছে। ক্রম–সংকীর্ণমান এই মধ্যবিত্ত চট্টগ্রামের নাটকের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করতে পারেনি। ঢাকার গ্রুপথিয়েটারে মধ্যবিত্তরা যে প্রভাব বিস্তার করেছে, চট্টগ্রামে তেমনটি পারেনি। তারপরও, চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রুপথিয়েটার চর্চার ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসহিত্যিক, নাট্যকার