মীরসরাইয়ে কৃষি বিভাগের সহায়তায় প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষকৃত ক্ষেত ভরে গেছে হলুদ, কালো ও সবুজ তরমুজে। শখের বশে তরমুজ চাষ করে অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। বাজারে এই ফলটির বেশ চাহিদাও রয়েছে। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কম খরচ ও পরিশ্রমে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
জানা যায়, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার জোরারগঞ্জ, হিঙ্গুলী, খৈয়াছরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এক হেক্টর জমিতে আটজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ করেছেন। মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মালচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে তরমুজ ক্ষেত। ইয়েলো কিং ও ব্ল্যাকবেরি জাতের তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। এই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কোনো ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়নি বলে জানা চাষিরা। পোকামাকড় রোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ ও ইয়েলো কার্ড। ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার এবং ফল প্যাকেট জাত করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে তরমুজ চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ, মালচিং পেপার, ফেরোমন ফাঁদ, জৈব সার দিয়েছে। ২০ শতাংশ জায়গায় জুড়ে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় লাভও বেশি হবে।