জ্বালানী তেলের দাম বাড়তে না বাড়তেই গাড়িতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি ভাড়া বাড়বে সেটা স্বাভাবিক, কারণ তারা যদি গাড়ি চালিয়ে বেতন বা ইনকাম তুলতে না পারে তাহলে গাড়ি চালাবে কেন?। এতে আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটু ভাবা দরকার। গ্রাম হতে অনেকে ভালো ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার লক্ষ্যে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকেন। কারণ গ্রাম হতে শিক্ষার জন্য শহরে সুযোগ সুবিধা বেশি। তাই শত আশা নিয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। কিন্তু ইদানীং যে হারে গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, একটি সময় দেখা যাবে গ্রাম হতে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখার রীতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মুখ ফিরিয়ে নিবে শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। একটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার দৈনিক একজন শিক্ষার্থীর জন্য কত টাকা খরচ করতে পারবে?
আয় থেকে যখন সব পণ্যের দামের উর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষার্থীরা তার পরিবারের কাছে তখন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। একটি উদাহরণ দেওয়া যায়: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা হতে একজন শিক্ষার্থী শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ালেখা করতে গেলে দৈনিক স্থানভেদে আসা যাওয়াতে ১৫০ হতে ২০০ টাকা খরচ হবে। যা একজন শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের জন্য বহন করা দিন দিন কষ্টসাধ্য হচ্ছে। তাই উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান হতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক দৃষ্টিতে সরকার এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ বিআরটিসির অধীনে শিক্ষার্থী বাস সার্ভিস চালু কিংবা পরিচালিত নিয়মিত চলাচল করা বাসগুলোতে হাফ পাস চালু হোক। আজকের দিনে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকলে তারা আগামী দিনে একটি সুন্দর, আদর্শিক, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র উপহার দিবে। একটি দেশের সম্পদ কিন্তু সে দেশের শিক্ষার্থীরা। তাই দেশের সকল শিক্ষার্থীদের পাশে মানবিক দৃষ্টি থাকা জরুরি এই ক্লান্তিলগ্নে।
গাজী মো. আরাফাত হোসেন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।