স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি প্রথমে উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সাজাতে চাই। বিশেষ করে সেখানে ডাক্তার থাকার পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলায় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও আবাসন ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে আমরা কিভাবে উপজেলায় একজন চিকিৎসককে থাকতে বলবো। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলো সমৃদ্ধ হলে তাহলে তবে শহরের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। গতকাল নগরীর রেডিসন ব্লু’র মোহনা হলে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন চট্টগ্রাম–২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি এর যৌথ উদ্যোগে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এমনও উপজেলা আছে যেখানে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য আমি কাজ করতে চাই। আপনারা আপনাদের রুটিন দায়িত্ব পালন করুন। আমি আপনাদের পাশে আছি। চিকিৎসক সুরক্ষার পাশপাশি রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমাকে দেখতে হবে। কোনো রোগী যাতে বিনা চিকিৎসায় কিংবা অবহেলাজনিত কারণে মারা না যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অনেক হাসপাতাল ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছি। যেখানে পাঁচটার পর ডাক্তার দেখিনি। এটি খুবই দুঃখজনক। আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের সমস্যা আমি আস্তে আস্তে ঠিক করবো। চিকিৎসকদের মর্যাদা বাড়ানোর জন্য যা করার দরকার আমি তাই করবো। আপনারা যে কোনো সমস্যায় আমার কাছে আসেন। আমি সমাধান করবো। আরেকটি বিষয় হলো–আমাদের ডাক্তাদের গ্রামে–গঞ্জে পোস্টিং দিলে তদবির শুরু হয়ে যায়। আপনাদের যেখানেই পোস্টিং দেওয়া হয় সেখানে কাজ শুরু করবেন।
চমেক হাসপাতাল হৃদেরাগ বিভাগের কনসালটেন্ট ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. রিজোয়ান রেহানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষেদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন চট্টগ্রাম–২০২৪ এর আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশন সভাপতি অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ ও চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির সভাপতি ও চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. আশীষ দে প্রমুখ।