পটিয়ায় গ্রামেগঞ্জের অলিগলিতে জমে উঠেছে কোরবানির ভ্রাম্যমাণ পশুর হাট। উপজেলার হাইদগাঁও, কেলিশহর, জঙ্গলখাইন, কমলমুন্সির হাট, শোভনদন্ডীসহ গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ এ পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। দিন-রাত সমানতালে চলছে গরু, মহিষ ও ছাগল কেনাবেচা।
করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি, করোনা ঝুঁকি ও ভিড় এড়াতে ক্রেতারাও ভ্রাম্যমাণ পথ থেকে পশু কিনছেন। বিক্রেতারাও কমদামে ও ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই অনায়াসে কোরবানির পশু বিক্রি করছেন। এবার কোরবানির পশুর হাটে গরু-মহিষের চাহিদা প্রায় সমান বলে জানান বিভিন্ন ক্রেতা বিক্রেতারা।
পটিয়া উপজেলার উত্তর হাইদগাঁওয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অলিগলিতে বসেছে গরু, মহিষ ও ছাগলের ভ্রাম্যমাণ হাট। সেখানে রাতদিন বেচাবিক্রিও চলছে সমানতালে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকার ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে পশু কিনতে আসছেন। স্থায়ী পশু ব্যবসায়ী ছাড়াও শতাধিক মৌসুমী পশু ব্যবসায়ী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু-মহিষের ব্যবসায় মাঠে নেমেছেন। পশু হাট ঘিরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। ভ্রাম্যমাণ পশুর হাট ঘিরে গড়ে উঠেছে চা-নাস্তার বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ টং দোকানও।
উত্তর হাইদগাঁও এলাকার বিসমিল্লাহ্ খামারীর স্বত্বাধিকারী ও পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও আবদুল গফুর মেম্বার জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে উত্তর হাইদগাঁও এলাকায় জমজমাট ভ্রাম্যমাণ পশুর হাট বসে। পরিবহন সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা সহজে এখানে এসে তাদের পছন্দের পশু সুলভমূল্যে ক্রয় করতে পারছেন।
জামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, এখান থেকে কোরবানির জন্য আমি ৮০ হাজার টাকায় একটি মহিষ কিনেছি। সুলভমূল্যে এখান থেকে পশু কেনা সহজ বলে জানান তিনি।
