গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক–কর্মচারী তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় কোম্পানির পরিচালক পারভীন মাহমুদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান গতকাল এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেন।
৬২ বছর বয়সী পারভীন মাহমুদের পক্ষে এদিন আদালতে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শাহীনূর ইসলাম অনি ও শেখ বাহারুল ইসলাম। এর বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার শুনানি নিয়ে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। খবর বিডিনিউজের।
আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম বাহার বলেন, বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় বিচারক পারভীন মাহমুদকে জামিন দিয়েছেন। আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি শুনানিতে বলেন, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ চুক্তির আওতায় ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৩৭ কোটি টাকা গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের দেওয়া হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৬৪ কোটি টাকা ১৫৬ জন শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে এবং ২৬ কোটি টাকা সিবিএ নেতৃবৃন্দ ও দুই আইনজীবী তাদের নিজেদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন।
অনি দাবি করেন, তার মক্কেলরা এই অর্থ স্থানান্তর সম্পর্কে কিছু জানেন না। এখানে পরিচালকরা কোনো টাকা ট্রান্সফার বা লন্ডারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত নন।
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, পরিচালকরা এই ট্রান্সফারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের যোগসাজশের প্রমাণ রয়েছে। পারভীন মাহমুদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হোক।
গত ৩০ মে অর্থ আত্মসাতের এই মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ–পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।