বিস্ফোরণসহ গ্যাস দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, লাইনের গ্যাস লিকেজ কিংবা রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণজনিত অগ্নিকাণ্ডে দ্বগ্ধ হয়ে ঝরে পড়েছে মূল্যবান অনেক প্রাণ। গ্যাসের এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সম্প্রতি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে জারি করা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অকারণে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা যাবে না। রান্না শেষে চুলা বন্ধ করতে হবে। গ্যাস স্বল্পতাজনিত বা অন্য কোনো কারণে চুলা আপনাআপনি নিভে গেলেও সতর্কতার সাথে চাবি বন্ধ করতে হবে। চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা, জানালা খুলে অবাধ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। রান্নাঘরের জানালা সবসময় খোলা রাখতে হবে। জানালা না থাকলে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মাঝেমধ্যে সাবান, শ্যাম্পুর ফেনা ছিটিয়ে চুলার নব বা পিতলের চাবির সংযোগস্থলে কোনোরূপ বুদবুদ সৃষ্টি হচ্ছে কিনা কিংবা লিকেজের আলামত আছে কিনা তা নিজে নিজে পরীক্ষা করা। কোনো লিকেজ পরিলক্ষিত হলে দক্ষ ফিটার মিস্ত্রি দিয়ে তা মেরামত করতে হবে।
রাইজার বা গ্যাসের উৎসলাইনে লিকেজের আলামত পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অভিযোগ করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। গ্যাস লিকেজ বা দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহারকারী গ্রাহকের আঙিনায় স্থাপিত গ্যাস রাইজারটিতে অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাস রাইজারটি কোনোভাবেই লোহার গ্রিল, শিট কিংবা বঙ দ্বারা আবদ্ধ করা যাবে না। গ্যাস লাইনের উপর কোনোরূপ অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। পাশাপাশি গ্যাস পাইপ লাইনের সন্নিকটে কোনো দাহ্য পদার্থ রাখা বা বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা যাবে না।