ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদর এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে গত সপ্তাহজুড়ে ছিল যানজট। কখনো ২–৩ কিলোমিটার আবার কখনো ৫–৭ কিলোমিটার দীর্ঘ হতে দেখা গেছে এই যানজট। মহাসড়কের মূল লেনের উপর দিয়েই গ্যাস লাইনের পাইপ বসানোর কাজের দরুণ সৃষ্টি হয় এই যানজট। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন–সহ স্থানীয় পথচারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের মীরসরাই পৌর সদর অংশটি সংকীর্ণ। মহাসড়কের অন্যান্য প্রসস্ত অংশগুলোতেও সড়কের পাশের ঢালু অংশ বা কিছুটা দূরের অংশ দিয়ে কিংবা বিকল্প স্থান দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন বসানো হয়। কিন্তু মীরসরাই সদরের সংকীর্ণ এই অংশে নেই কোনো অতিরিক্ত পার্কিং স্থানও। তবুও সংকীর্ণ লেনের পাশে মাটি এবং কংক্রিট স্তূপ করে সপ্তাহজুড়ে কাজ চলছে। এক বাসযাত্রী নুর নবী বলেন, বৃহস্পতিবার মিঠাছরা বাজার থেকে সকাল ১১টায় বাসে উঠেছি। চট্টগ্রামের মিটিং ছিল। মীরসরাই সদর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পার হতে ২ ঘণ্টা লেগে গেছে। এছাড়া আরো কয়েক স্থানের যানজট মিলে শহরে পৌঁছতে ৫ ঘণ্টাই লেগে গেছে। বাসচালক আমিনুর রহমান বলেন, মীরসরাই সদরে কয়েক দিন ধরেই নিত্য যানজটে গড়ে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এতে শিশু ও মহিলা যাত্রীদের ভোগান্তিই বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই যানজট বেশি ছিল। এ সময়ে শহরমুখী যান চলাচল বেশি থাকে। আবার যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক বা লাইনম্যান ও সিগনাল ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
মহাসড়কে পাইপ লাইন স্থাপন কাজে নিয়েজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দীপন গ্যাসের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন বলেন, আমরা মূলত সড়ক বিভাগ থেকে সকল প্রকার অনুমোদন ও অনুমতি নিয়েই এখানে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি সড়ক স্বাভাবিক রাখতে। কিন্তু গাড়িগুলোই নিয়ম ভেঙে নির্ধারিত স্থানে না থেকে সংকীর্ণ রাস্তার উপর থামছে বলে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথের চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিনটু চাকমা বলেন, বিশেষ করে অফিস আওয়ারে যান ও জন চলাচল বৃদ্ধি থাকার সময়ে সড়কে বিঘ্ন ঘটানোর বিষয়টি আমার জানা ছিল। এখন থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করছি চলতি সপ্তাহে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না সাধারণ মানুষ ও যানবাহনগুলোকে।