গৌতম বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্র কান্দাহারে

অনামিকা বড়ুয়া | বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

গৌতম বুদ্ধের ব্যবহার করা ভিক্ষা পাত্র। বহু পথ ঘুরে, বহু হাত বদলের পর সেটি এখন কান্দাহারে রয়েছে। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে, গৌতম বুদ্ধ তাঁর মহাপরিনির্বানের ৯০ দিনের আগে পা রেখেছিলেন বৈশালী নগরীতে। সেখানে তিনি কিছুকাল অতিবাহিত করেন এবং গণতন্ত্রের প্রথম ভিত্তি স্থাপিত হয় তাঁরই হাত ধরে ঐ বৈশালীতেই। পরিনির্বাণের আগে তাঁর সর্বশেষ ভাষণটি ছিল বৈশালী নগরীতেই। সেখানে ভগবান বুদ্ধ মানবসমাজের সাতটি কর্তব্য পালনের বাণী প্রচার করেন। সেই সপ্তপন্থা আজও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। বৈশালীতে ভগবান বুদ্ধের কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন রাজনর্তকী আম্রপালী। বৈশালী নগরীর ভক্তবৃন্দকে বুদ্ধ তাঁর ভিক্ষাপাত্র দান করেছিলেন।

বৈশালী পরিত্যাগের আগে বু্‌দ্ধ ঘোষণা করেন ৯০ দিন পর তাঁর নির্বাণ ঘটবে। এই কথা বলেই তিনি কুশীনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। খোদ অমিতাভর মুখে মহানির্বানের কথা শুনে অধীর, বিচলিত বৈশালীবাসী তাঁর পিছন পিছন চলতে থাকে। বহুবার বারণ করা সত্ত্বেও যখন তারা তাঁর পিছু ছাড়ল না, তখন বৈশালীবাসীকে নিজের ভিক্ষাপাত্রটি দান করে বুদ্ধ বলেন, এর মাধ্যমেই আমাকে স্বরণ করো। সেই থেকে ঐ ভিক্ষাপাত্র বৈশালীতেই ছিল। কিন্তু যুগে যুগে বিদেশী আক্রমণ ও আভ্যন্তরীণ অভ্যূথানের কারণে বহু হাত ঘুরে ভিক্ষাপাত্রটি প্রাচীন গান্ধার অর্থাৎ বর্তমান কালের আফগানিস্তানে চলে যায়। প্রথমে পেশোয়ার। সেখান থেকে কাবুল। এখন সেটি কান্দাহারে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার কথা
পরবর্তী নিবন্ধসমাজে মন্দলোকেরাই সংঘবদ্ধ