চুরি করা তার স্বভাবজাত। বাসা–বাড়ি থেকে মন্দির কিছুই বাদ যায় না। কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়েও তিনি চুরি ছাড়তে পারেননি। আবার পাপ–পুণ্যের বিষয়েও তার জ্ঞান টনটনে। তাই মন্দিরে চুরি করার আগে তিনি গোসল করেন, ভেতরে ঢুকে প্রথমেই প্রতীমার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু রক্ষা পেলেন না। পটিয়া উপজেলায় একটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিশ ঠিকই তাকে গ্রেপ্তার করল। তার নাম হারুনর রশিদ। তিনি চন্দনাইশ পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পটিয়া থানার এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের সাবিত্রী মন্দিরে গত ১০ মার্চ রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হারুনর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসআই বলেন, চুরি করা হারুনের স্বভাব। একসময় কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়েও জড়িয়ে পড়েন চুরিতে। সেখানে ধরা পড়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে তিন বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসেও চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে ধরা পড়ে এলাকাছাড়া হয়েছিলেন। সাবিত্রী মন্দিরে চুরির ঘটনা সম্পর্কে হারুন পুলিশকে বলেন, ওই এলাকায় অন্য একটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা ছিল দেখে প্রবেশ করিনি। পরে সাবিত্রী মন্দিরে গিয়ে পাশের পুকুরে হাত–মুখ ধুয়ে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর জানালা ভেঙে প্রবেশের সময় তিনি থমকে যান। আবার গিয়ে পুকুরে গোসল সেরে মূল মন্দিরে প্রবেশ করেন। সেখানে কালী মূর্তির পা ধরে ক্ষমা চেয়ে দান বাক্স ভেঙে ৭ হাজার নগদ টাকা, সিসি ক্যামেরা ও মনিটর চুরি করে নিয়ে যান।