জার্মানি সামরিকভাবে কয়েক দশক ধরে তৎপরতাহীন থাকার পর চার সপ্তাহ আগে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেনকে কয়েক ডজন বিমান বিধ্বংসী ট্যাংক দিতে রাজি হয়। দেশটির এই সিদ্ধান্তকে বাঁক বদলের অংশ বলা হলেও বার্লিন জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইনকে ওই গিপাদ ট্যাংকের প্রথম চালান জুলাইতে দিতে পারবে।
পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে ট্যাংক পেতে এত দেরি হওয়া নিয়ে মঙ্গলবার ইউক্রেইনের পার্লামেন্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমাদের (ট্যাংক পেতে) জুলাই হচ্ছে, বলে কী? আমি এভাবে দেখাচ্ছি। চলুন এক মা’কে জিজ্ঞেস করি, যিনি সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে বেজমেন্টে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যার কাছে শিশুখাদ্য নেই, তার জন্য জুলাই কতটা দূর?, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেন পার্লামেন্টের সদস্য আনাস্তাসিয়া রাদিনা। খবর বিডিনিউজের।
মস্কো যখন তার বেশিরভাগ সেনা ও অস্ত্র ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে সরিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে সরানো শুরু করে তখন থেকেই কিয়েভ মিত্রদের কাছে ভারি অস্ত্রশস্ত্রের জন্য কাতর অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। কিন্তু যেসব কারণে জার্মানির এই অনুরোধে সাড়া দিতে দেরি হচ্ছে, গোলার ঘাটতি তার অন্যতম বলে জানিয়েছেন সামরিক খাত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময়ই বার্লিন বিষয়টি জানতো।












