বান্দরবানে গোয়ালিয়াখোলা সেতুতে সম্ভাবনার দুয়ার খোলায় বদলেছে দুই পাড়ের মানুষের অর্থনীতির চাকা। জেলার শস্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত বান্দরবানের সদর ও কুহালং ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার মধ্যে সংযোগ সড়ক স্থাপনে ভোগান্তি কমেছে চার ইউনিয়নের মানুষের।
জানা যায়, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ এবং দুপাড়ের মানুষদের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালে বান্দরবানের গোয়ালিয়াখোলায় সাঙ্গু নদীর উপরে পঞ্চম সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় সাড়ে তের কোটি টাকা ব্যয়ে ২২০ মিটার গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। উদ্ধোধনের পর বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছা, কুহালং, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, দোহাজারি চারটি ইউনিয়নের চল্লিশটি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য, কেঁচো স্যার, পোল্ট্রি খামারের ডিম মুরগি বাজারজাতকরণ এবং স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সেতুর সুফল ভোগ করছে ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক মো. বশর ও উনুমং মারমা বলেন, সেতুটির মাধ্যমে পাহাড় ও সমতল ভূমির দুপাড়ের চারটি ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ সড়ক স্থাপিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলোর চল্লিশের বেশি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি কমেছে। সেতুতে সড়কের দূরত্ব কমেছে ১৫ কিলোমিটার মত। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি সেতুতে কৃষি বান্ধব এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ঘুরে বেড়ানোর একটা জায়গাও হয়েছে গ্রামবাসীদের।
এ বিষয়ে বান্দরবান এলজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সেতুটি দুপারের মানুষদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। সেতুটির ফলে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। গড়ে উঠেছে দোকানপাট এবং ব্যবসা বাণিজ্য। সম্ভাবনার দুয়ার খোলায় একটা সেতুতেই পাল্টে গেছে এলাকাগুলোর চিত্র।