তোমাকে নিয়ে যখন কবিতা লিখতে বসি,
তখন মনের আয়নাতে কেবল তোমার প্রতিচ্ছবি দেখি।
চোখের পাতায় বিমূর্ত স্পর্শ তোমার,
বুকে যেন ষোড়শী নদীর টলমল
কম্পনের শব্দ।
আমার আরাধ্য কবিতার শব্দগুলো
হিম রাতের শীৎকারে নেতিয়ে পড়েছে।
সূর্য ডুবে যখন বধির আকাশ,
তোমার শরীরের অবিনাশী ঘ্রাণে হই মাতাল।
নিঃসঙ্গ ঠোঁট চুরমার করেছো তোমার তৃষিত
ওষ্ঠের আঘাতে।
উন্মাতাল নিঃশ্বাসে গিলেছো জবুথবু শরীর।
তবুও কেন আজ নীলাভ গোপন দীর্ঘশ্বাস?
শব্দহীন নিয়তি বারবার তোমাকে ভুলিয়ে রাখে
যখন মুখ ঘেঁষে সন্ধ্যা নামে।
যা কিছু অস্পৃশ্য ভুলে যাই সবটুকু
মধ্যরাতের উন্মাদনায় বক্ষের অলৌকিক ঘ্রাণে।