নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেটে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে তিনি ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছেন। অথচ ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাবদ হাজী সগীর আহমেদ রানা নামের ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কোনো টাকাই জমা দেননি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সার্কেলের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামসুল আলম কোনো টাকা গ্রহণ ছাড়াই ফ্ল্যাটটিতে হাজী সগীর আহমেদ রানাকে বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন। এর ফলে রাষ্ট্রের ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য। এ ঘটনায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল দায়ের হওয়া এ মামলায় মো. শামসুল আলম ও তার দ্বারা সুবিধাভোগকারী হাজী সগীর আহমেদ রানাকে আসামি করা হয়েছে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বসবাসের সুযোগ প্রদান করে রাষ্ট্রের ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন মো. শামসুল আলম। অন্যদিকে হাজী সগীর আহমেদ রানা কোনো ডাউন পেমেন্ট বা কিস্তি পরিশোধ না করে রাষ্ট্রের ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল হাজী সগীর আহমেদ রানা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে হালিশহর হাউজিং এস্টেটের ১০৮টি ফ্ল্যাট প্রকল্পের অবরাদ্দকৃত ৪টি ফ্ল্যাট থেকে একটি ফ্ল্যাট তার নামে বরাদ্দের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২ জুলাই ১৪৪ তম বোর্ড সভায় সংরক্ষিত কোটায় সগীর আহমেদের নামে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মো. শামসুল আলম একইবছরের ২৭ জুলাই বরাদ্দপত্র প্রদান করেন। কিন্তু তিনি বরাদ্দপত্রের শর্ত না মেনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিস্তির টাকা গ্রহণ ছাড়াই হাজী সগীর আহমেদের কাছে ফ্ল্যাট প্রদান করেন। এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটের মোট ভাড়া আসে ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা। যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হওয়ার কথা ছিল।