গৃহহীনদের ঘর উপহার সবচেয়ে বড় উৎসব : প্রধানমন্ত্রী

জিয়ার কাজ ছিল মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা

| রবিবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

মুজিববর্ষে গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর উপহার বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহহীন পরিবারের হাতে গতকাল শনিবার ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, আজকে এটাই সবচেয়ে বড় উৎসব, এর চেয়ে বড় উৎসব বাংলাদেশের মানুষের হতে পারে না।
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব পরিবারকে ঘরের চবি বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ৪৯২টি উপজেলার মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ এসব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার লক্ষ্য। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, খুব আকাক্সক্ষা ছিল নিজে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দিই। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য হলো না। তারপরেও আমি মনে করি, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক শ্রেণির জন্য কাজ করছি। সব মানুষকেই ঠিকানা করে দেব, এটাই আমার লক্ষ্য।
মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার ধারাবাহিকতায় পৌনে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথমে ৬৬ হাজার ১৮৯টিকে ঘরের মালিকানা দেওয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিনে এত মানুষকে ঘর দিতে পারলাম, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। যাদের গৃহ নেই তাদের ঘর করে দিতে পারা অসাধ্য সাধন করতে পারলাম, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারে না। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই এত বড় অসাধ্য সাধন হয়েছে।
জিয়ার কাজ ছিল মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা : বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করাই বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কাজ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি সেনা শাসনের সময় দেশের মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কি পেয়েছিল তখন? অনেকে গালভরা কথা বলে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারটা কী? একটা মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা দখল করে একদিন ঘোষণা দিল যে ‘আজ আমি রাষ্ট্রপতি হলাম’। তারপরই সেটা গণতন্ত্র হয়ে গেল। হ্যাঁ, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিল, কিন্তু দুর্নীতি করা, মানি লন্ডারিং করা, ব্যাংকে ঋণ খেলাপ করা। টাকা ব্যাংক ছাপিয়ে নিয়ে এসে সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ সে কথা শোনানো, এবং ‘আই ইউল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান’ এ কথাও জিয়াউর রহমান বলে গেছে। জিয়াউর রহমানের কাজই ছিল এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন ঘর, নতুন স্বপ্ন
পরবর্তী নিবন্ধনিরাপদ আধুনিক নগর গড়ার প্রত্যয় শাহাদাতের