কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি বনাঞ্চলে সেই বন্যহাতিটিকে বৈদ্যুতিক শকে ও গুলি করেই হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বনবিভাগ।
গতকাল রবিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে রামুর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. জুলকার নাইনের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
ময়নাতদন্তে বন্যহাতিটিকে বৈদ্যুতিক শকে হত্যার প্রমাণ মিলেছে বলে জানান স্থানীয় পানের ছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
ভেটেরিনারি সার্জনের বরাত তিনি আরো জানান, হাতিটির পায়ে একটি গুলির চিহ্নও রয়েছে।
রবিবার সকালে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির বনের পাশে একটি মৃত হাতি পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর স্থানীয় বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে রবিবার রাতে রামুর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. জুলকার নাইনের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগের রাতে ঐ এলাকায় গুলির শব্দও শুনতে পেয়েছিলেন তারা। তবে হাতিটি মৃত অবস্থায় জোতজমিতেই পড়ে ছিল বলে জানান কক্সবাজার (দক্ষিণ) বনবিভাগের পানের ছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, “হাতিটিকে যেখানে মৃত পাওয়া যায় তার পাশেই রয়েছে বনাঞ্চল। আর ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই লোকালয়।”
বনকর্মীরা জানান, বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় খাবারের সন্ধানে হাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে লোকজনের ধানক্ষেত খেয়ে ফেলে। হাতির পাল ধানক্ষেতে ঢুকলেই গুলি করা হয় অথবা ধানক্ষেত ঘিরে রাখা বৈদ্যুতক তারে স্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত ২ বছরে কক্সবাজারে কমপক্ষে ১৩টি বন্যহাতি হত্যার শিকার হয়েছে।