প্রায় ১৮ ঘন্টা পর সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র উপকূলে ভেসে উঠেছে নিখোঁজ পর্যটক মেহেদী হাসানের (১৬) মরদেহ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টায় গুলিয়াখালী খালে মাটির সাথে আটকা অবস্থায় তার মরদেহটি দেখতে পান জেলেরা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পানি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে আনা হয়।
জেলেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার কারণে মেহেদী হাসানের মরদেহ কিছুটা ফুলে গেছে। নিহত মেহেদী হাসান কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানার গোবিন্দপুর এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি কুমিল্লা মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। এর আগে গত বুধবার দীঘ ৮ ঘন্টা উদ্ধার অভিযানের পরও সন্ধান মেলেনি গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ মেহেদী হাসানের। বুধবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করে ফিরে আসতে হয় ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্যের ডুবুবি দলকে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কুমিল্লা মডেল হাইস্কুল থেকে ১৪ জনের একটি দল গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে নেমে পড়েন। তাদের বন্ধু মেহেদী হাসান তখনও নিখোঁজ ছিলেন। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল আলম দুলাল বলেন, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আমাদের প্রথম দিনের অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। গতকাল ভোরে স্থানীয় জেলেরা মেহেদী হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে আমাদের জানায়। নিহতের মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।












