গুলশান হাউজিংয়ে পাহাড় কেটে বসতি ৮ ব্যক্তিকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন জালালাবাদ মৌজার ব্যাংক পাহাড় শেরশাহ বাংলাবাজার গুলশান হাউজিংয়ে পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণের অভিযোগে ৮ ব্যক্তিকে ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে এক শুনানী শেষে ৮ ব্যক্তিকে বিভিন্ন অংকে এসব জরিমানা করেন কার্যালয়ের পরিচালক (সরকারের যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল্লাহ নূরী।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গুলশান হাউজিংয়ের পাহাড় কেটে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে মৃত কাজী ফারুক আহমেদের ছেলে কাজী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে ২ লাখ টাকা, পাহাড় টিলা কেটে দখল করে টিনশেড ঘর নির্মাণের অভিযোগে মৃত আবদুর রহমানের চেলে জুনাব আলীকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, মো. সোনা মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা, নুরুল হক চৌধুরীর ছেলে দিদারুল আলম চৌধুরীকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, পাহাড় কেটে ৯ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে আবদুল হালিম চৌধুরীর ছেলে মোহাম্মদ রফিককে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৯ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে মো. আমিন শরীফের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, পাহাড় কেটে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে গরুর খামার স্থাপনের অভিযোগে মো. সোনা মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলামকে ৬০ হাজার টাকা এবং টিনশেড ঘর নির্মাণের অভিযোগে মো. আবুল বশরের ছেলে মো. আলমগীর হোসেনকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর দৈনিক আজাদীতে “বায়েজিদে ‘বড় পাহাড়ে’ বড় কলোনি; পাহাড় এখন টিলা, শত শত ঘর” শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৩০ নভেম্বর বায়েজিদের গুলশান হাউজিংয়ের বাংলাদেশ ব্যাংক পাহাড় এলাকায় এনফোর্সমেন্ট চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়ে ৮ ব্যক্তিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে শুনানিতে ডাকা হয়। গতকাল সোমবার নির্ধারিত শুনানীতে তাদের জরিমানা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরিব মুর্দার গোসলখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে হাই কোর্টের স্থিতাবস্থা, রুল জারি
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরে ইউসিবির ইম্পেরিয়াল লাউঞ্জ উদ্বোধন