জানেন জানান শিখান যিনি
তিনিইতো সবার শিক্ষাগুরু,
পিতা মাতা দুনিয়ায় আনেন
শিক্ষকের হাতে জীবন শুরু।
স্রষ্টার ইচ্ছেতে শিক্ষক হন
কেউ চাইলে হতে পারে না তা,
বাই চান্স নাকি শিক্ষক হন
বলেন কিছু গণ্ড মুর্খের ছা!
অপ্রতুল বেতন স্বাস্থ্য ভাতা
বাড়িভাড়া ভাতাও হাতে তোলা,
দুবেলা দুমুঠো জোটে না ভাত
দারিদ্র্যের চাপে আত্মভোলা।
শিক্ষক বানান র্যাব পুলিশ
আার্মি পাইলট সাংবাদিক,
চোর ডাকাত সন্ত্রাসী গড়েন
বানান অকুতোভয় সৈনিক।
শিক্ষক বানান ইঞ্জিনিয়ার
ডাক্তার নেতা উকিল আমলা,
শিক্ষকই বানান শিল্পপতি
কুলি মজুর শ্রমিক কামলা।
লেখক সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী
শিল্পী অভিনেতা তাঁরই সৃষ্টি,
শিক্ষার্থীদের আগলে রাখেন
না যেন পড়ে অশুভ কু–দৃষ্টি।
শিক্ষাগুরু আজ মর্যাদাহীন
শিক্ষার্থীর হাতে উঠছে লাঠি!
গুরুর মস্তক ভাঙছে শিষ্য
রক্তে রঞ্জিত রাজপথ মাটি!
একটু শাসন করলে গুরু
চারদিকে হৈ চৈ তীব্র স্লোগান,
দুর্বৃত্তেরা সমস্বরে বলবে
স্কুল ছাড়ো নইলে যাবে প্রাণ!
শিক্ষকও যে কারো পিতা মাতা
জেনে রেখো হে নিষ্ঠুর সমাজ!
শিক্ষকের পেটে মারলে লাথি
তোদের মাথার পড়বে বাজ!
সেদিন কি আর আসবে ফিরে
মাথা নত হবে শিক্ষাগুরুর পায়!
শিক্ষক হলেন মাথার তাজ
মাথাতেই দাওগো তাঁকে ঠাঁই।