‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার পালিত হয়েছে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৫। প্রতি বছরের ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হয়। সমাজের সব স্তরের কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এই দিবস পালনের লক্ষ্য। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালিত হয়।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের আয়োজনে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যুগান্তর, ডিডিআরসি ও এওয়াক’র সার্বিক সহযোগিতায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে দুই দিনব্যাপী মেলা, বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম।
আলোচনা সভায় অংশ নেন রামপুর প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি শাহাদাত হোসেন, ডিডিআরসি’র নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম সাজ্জাদ, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন, সিডিডি’র নির্বাহী পরিচালক নাজমুল বারী ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মারশেদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রতিবন্ধী সহায়ক স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আরও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, প্রতিবন্ধী ভাই বোনরাও আমাদের দেশের সম্পদ। দেশের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা কোথায় কাকে কাজে লাগানো যায়, কার কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, কার কী ধরনের সুবিধা দরকার–আমরা প্রোভাইড করবো। প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে ও সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক সুবিধা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সরকার তা করবে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার, অঙিলারি ক্রাচ, স্মার্ট সাদা ছড়িসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।











