কংগ্রেসের ‘জি-২৩’ বা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আপাতত দল না ভেঙে ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের পুনরুত্থান নিশ্চিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকা গান্ধী অনুগতদের সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাতে যাচ্ছেন। বুধবার রাতে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি কংগ্রেসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে ‘জি-২৩’, দুই বছর আগে সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লেখা ২৩ ভিন্নমতাবলম্বীর দলই ‘জি-২৩’ নামে পরিচিতি পায়। খবর বিডিনিউজের। বিদ্রোহীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে বুধবারের বৈঠকে নেতার দল এখন এতই দুর্বল যে ভাঙনে টিকতে পারবে না-এমন আলোচনাও করেছেন বলে জানা গেছে। গুলাম নবী আজাদই সম্ভবত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এই বৈঠকের বার্তা ও বিদ্রোহীদের উদ্বেগের কথা জানাবেন, বলছে সূত্রগুলো। সোনিয়া-আজাদের ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির রোববারের বৈঠকে রাজ্য নির্বাচনে দলের ভরাডুবির ময়নাতদন্ত হয়, তার দুইদিন পর ‘জি-২৩’ বৈঠকে বসল। কার্যনির্বাহী কমিটির ওই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ও তার দুই ছেলে-মেয়ে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে চাইলেও অন্যরা তা খারিজ করে দেন বলে বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ৫ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনার পর কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে আস্থা রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করে এবং সোনিয়াকে সংশোধনমূলক সাংগঠনিক পরিবর্তন আনার অনুরোধ জানায়।