নগরীর ইপিজেডের আকমল আলী রোডের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় দুই পক্ষের মারামারির সময় পথচারী মেহেদি হাসানকে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া এলাকার সাদিকুর রহমান ও পিরোজপুর সদরের মো. হাফিজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার ইপিজেড থানা পুলিশের একটি টিম আকমল আলী রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ইপিজেড থানার এসআই মহসীন সরদার আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবকের মধ্যে সাদিকুর রহমান ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি। আর হাফিজুল ইসলামের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
ইপিজেড থানা পুলিশ জানায়, ৯ মে দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস মেটেরিয়ালস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সাদিকুর রহমান ও রমজান আলীর মধ্যে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরি ছুটি হওয়ার পর সন্ধা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দুই পক্ষ ফ্যাক্টরির সামনে উপস্থিত হলে ফের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আকমল আলী রোড চৌরাস্তা সংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে রাস্তা দিয়ে ভিকটিম মেহেদি হাসান ও মো. নাহিম নামে এক যুবকসহ পথচারীরা যাচ্ছিলেন। মেহেদি হাসানকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তার বুকের ডান পাশ, ডান হাতের কব্জির উপর এবং ডান পায়ের হাঁটুর পেছনে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মেহেদি হাসান রিফাত ও শহিদুল ইসলাম নামে আরো দুই যুবক আহত হন।
মেহেদি হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম মামলা দায়ের করেছেন উল্লেখ করে এসআই মহসীন সরদার বলেন, মেহেদি হাসান ভোলা জেলার তজুমদ্দিন এলাকার মো. হারুনের ছেলে। তিনি সিইপিজেডের মেরিমো কোম্পানিতে ক্যান্টিন বয়ের কাজ করতেন।