নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নগরের বাণিজ্যিক, পর্যটন, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে। এতে নাগরিকদের যাতায়াত সহজ হবে এবং নগরীর সার্বিক আর্থিক কর্মকাণ্ডের উন্নতি হবে।
গত রোববার টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসিন, মাহমুদ শাফকাত আমিন, শাফকাত বিন আমিন। সভায় নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক ও টেকসই করতে ব্যাপক পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নগরের যানজট নিরসন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। নগরের সার্বিক উন্নয়ন ও পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। যানজট, অপরিকল্পিত রাস্তা এবং অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে নগরবাসী প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছে। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। কিন্তু এখনো অনেক সড়কের বেহাল দশা। সড়ক উন্নয়নে মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে যাতে রাস্তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। শুধু নির্মাণ করলেই হবে না, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নগরীর যানজট কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তার পাশে অবৈধ দোকানপাটের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সভায় নগরের সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলোকায়ন ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দেন মেয়র। তিনি বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে পর্যাপ্ত আলোর অভাব রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত স্ট্রিটলাইট ও এলইডি বাতি স্থাপন করতে হবে।
বিশেষ করে ফ্লাইওভার, ব্যস্ত সড়ক, আবাসিক এলাকা, পার্ক এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের আলোকায়ন ব্যবস্থা আধুনিক করতে হলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে বিদ্যুতের ব্যয় কমবে এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।