জয়ের আশা জাগিয়েও এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে গুয়ামকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ দল। এই টুর্নামেন্টে দুঃসময়ের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার আশা জাগিয়েও গুয়ামের বিপক্ষে জিততে পারেনি মারুফুল হকের দল। তাতে বাছাইয়ে লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনাও ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করেছে। ভিয়েতনামের ল্যাচ ট্রে স্টেডিয়ামে গতকাল সোমবার গুয়ামের বিপক্ষে ২–২ ড্র করে বাংলাদেশ দল। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪–০ গোলে হেরে ‘এ’ গ্রুপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। গুয়ামের বিপক্ষে অবশ্য আশা জাগানিয়া শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। খেলার ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। রাজু আহমেদ জিসানের নিচু ক্রসে বল পেয়ে মিরাজুল ইসলাম নিখুঁত টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। ১–০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। তবে তাদের এগিয়ে থাকার আনন্দ বজায় ছিল খেলার ৭৩ মিনিট পর্যন্ত। ৭৪তম মিনিটে সমতা ফেরায় গুয়াম। নিজেদের ডি বক্সে বাংলাদেশ অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় গুয়াম। তা থেকে গোল করে সমতা ফেরান সুনতারো সুজুকি।
খেলার ৮৮ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায়। বলা যায় তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ দল। কারন ম্যাচের তখন মাত্র দুই মিনিট বাকি ছিল নির্ধারিত সময়ের। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন মইনুল ইসলাম। ব্যবধান দাড়ায় ২–০। বাংলাদেশ দল যখন জয় উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখণই কপাল পুড়ে তাদের। ম্যাচের যোগ করা সময়ের শুরুতে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশের। গ্যাভিন বেকারের আড়াআড়ি পাসে কার্টিস হারমনের চিপ গোলরক্ষক মাহিন ইসলামের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ালে দ্বিতীয় দফায় সমতায় ফিরে গুয়াম। খেলার শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে আবার একটি সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ইফতেশাম রহমান জিদান সাড়া দিতে পারেননি ঠিকঠাক। এই বদলি ফরোয়ার্ডের হেড হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। আর তাতে শেষ হয়ে যায় জয়ের স্বপ্নও। এ এফ সি অনূর্ধ্ব–২০ ফটুবল টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব উত্তরনের লক্ষ্যপূরণের পথ থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ স্থানে আছে অবস্থান করছে বাংলাদেশের যুবারা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ দল মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভিয়েতনামের। বাছাই পর্বের ১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্সআপ দল পাবে মূল পর্বে খেলার টিকেট। বাংলাদেশ এখন কতটা এগুতে পারে সে পথে সেটাই দেখার অপেক্ষা।