একদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্ক, তার উপর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরসাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দ্রুত ধান কাটার কাজ। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, রাঙ্গুনিয়ায় ৯০ ভাগ ফসল কাটা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন বাকি ১০ ভাগ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। সরেজমিনে চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আবাদকৃত বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত দিনমজুর কৃষকরা।
কেউ সড়কের পাশে ধান মাড়াই ও ঝাড়াই করছেন, কেউবা আবার ধান কাটতে ব্যস্ত। আবার অনেকে ধান বস্তাবন্দি করে ঘরে নিতেও দেখা গেছে। এবার উপজেলার ৮ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। শুধুমাত্র গুমাইবিলে আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর। এরমধ্যে বিলের মরিয়মনগর অংশে শতভাগ ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। তবে চন্দ্রঘোনা, ব্রহ্মোত্তর, নিশ্চন্তাপুরসহ বেশ কিছু অংশে এখনো ধান কাটা বাকী রয়েছে। এছাড়া যেসব ধান ইতিমধ্যেই কাটা হয়েছে এসব মাড়াই ও ঝাড়াই করার কাজ করতে দেখা গেছে কৃষকদের। একদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্ক অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশংকা। তাই এসবের কবল থেকে কষ্টের ফসল রক্ষা করতে কৃষক আর দিনমজুররা সারাদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ফসল তোলার কাজ করছেন। রেজাউল করিম নামে একজন কৃষক জানান, তিনি এবার ১২ কানি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই ১০ কানি জমির ধান ঘরে তুলেছেন। বাকী ধান ঘরে তোলার জন্য চড়া দামে শ্রমিক লাগিয়েছেন। তার মতো অন্যান্য কৃষকরাও শ্রমিকদের চড়া মজুরী দিয়ে হলেও ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত।
গুমাইবিলে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, কৃষকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার সতর্কতামূলক তথ্য মাঠে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হয়েছে। তাই অধিকাংশ কৃষক কষ্টের ধান বৃষ্টি আসার আগেই ঘরে তুলতে পেরেছেন। কিছু ধান এখনো থেকে গেছে। আশাকরি সেগুলোও কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন।