গিরিবালা দেবী (১৮৯১–১৯৮৩)। বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি ‘রায়বাড়ি’ উপন্যাসের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লীলা পুরস্কার লাভ করেন। গিরিবালা দেবী ১৮৯১ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দীননাথ শাস্ত্রী। তিনি ছিলেন সংস্কৃত সাহিত্যে সুপণ্ডিত। গিরিবালা দেবীর লেখাপড়ার হাতেখড়ি ঠাকুরমার কাছে। বাল্যবয়সেই শুরু করেন সংসার জীবন। মাত্র তেরো বৎসর বয়সে তার বিবাহ হয় পাশের গ্রামের জমিদারপুত্র পূর্ণচন্দ্র রায়ের সাথে।
রক্ষণশীল একান্নবর্তি পরিবারে মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের আবহাওয়া অনুকূল ছিল না। কিন্তু স্বামী তাঁর পাশেই ছিলেন। যতটা পেরেছেন স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন। কুড়ি বৎসর বয়সে তার প্রথম রচনা গল্প ‘ছলনা’ প্রকাশিত হয় প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘মানসী ও মর্মবাণী‘ পত্রিকায়। একই সময় তার ‘ভাগ্যহীনা’ গল্পটি প্রকাশিত হয় চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পাদিত ‘নারায়ণ’ পত্রিকায়।
গিরিবালা বিশটি উপন্যাস ও দুহাজারেরও বেশি গল্প, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তার দীর্ঘ ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হল ‘রায়বাড়ি’। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তার এই উপন্যাসটির জন্য ‘লীলা পুরস্কার’ প্রদান করে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল–তৃণগুচ্ছ (১৯২২), ছোটগল্প সংকলন রূপহীনা (১৯২৫), হিন্দুর মেয়ে (১৯৩০), দান প্রতিদান (১৯৩৭), খণ্ড মেঘ (১৯৪৫), মুকুটমণি, কুড়নো মানিক।