গিনেস বুকে প্রেন চ্যুং ম্রো

এক মিনিটে ২০৮ বার ফুটবল ট্যাপ

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

পা দিয়ে এক মিনিটে সর্বোচ্চ ২০৮ বার ফুটবল ট্যাপ করে গিনেস রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রেন চ্যুং ম্রো। গত বুধবার তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ই-মেইল পেয়েছেন। প্রেনের জন্ম বান্দরবান সদরের ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের লামার পাড়ায়। দুই ভাই আর তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। এর আগে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি (১৯৭ বার) বার পা দিয়ে ফুটবল ট্যাপ করার রেকর্ডটি ছিল ঢাকার মুন্তাকিমুল ইসলাম নামে এক যুবকের। তিনি ১ মিনিটে ২০৭ বার ফুটবল ট্যাপ করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেকর্ডটি করেন তিনি। এরপর সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় প্রেন। ছোটবেলা থেকেই প্রেন ফুটবলপ্রেমী ছিলেন। অনেক চেষ্টা আর পরিশ্রমের ফলেই এই স্বীকৃতি মিলেছে বলে জানান প্রেন।
প্রেনের সাথে কথা বলে জানা গেল এই স্বীকৃতির পিছনের গল্প। এই স্বীকৃতি তাকে অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে আর কয়েকটি ক্যাটাগরিতে তিনি প্র্যাক্টিস চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। প্রেন চ্যুং ম্রো বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর এই রেকর্ড হোল্ডার হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি সবসময় এমন কিছু করতে চেয়েছি যেটা আমার এবং জাতির জন্য নতুন কিছু হবে। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সম্ভবত আমাদের পাহাড়িদের থেকে এখন পর্যন্ত কেউ নেই। তাই এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। সবকিছু নিজের চেষ্টায় করেছি, ফলও পেয়েছি। আমি ভেবেছিলাম এটা হবে না তাই আরো ২-৩ টা রেকর্ড প্র্যাক্টিস অফ করে ফেলছিলাম। তবে রেকর্ডটা হয়ে গেল। এই রেকর্ডটা আমার অনুপ্রেরণা হবে পরবর্তী আরেকটা নতুন রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য।
প্রেন গত ২৪ এপ্রিল ১ মিনিটে পা দিয়ে সর্বোচ্চবার (২০৮ বার) ফুটবল ট্যাপ করার ভিডিও করে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সংযুক্ত করে গিনেস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। এরই মধ্যে পেরিয়ে যায় ৬ মাসেরও বেশি সময়। কর্তৃপক্ষ সব যাচাই-বাছাই করে গত বুধবার তারা প্রেন চ্যুং ম্রোর রেকর্ডটির স্বীকৃতি দেয় এবং গিনেসের ওয়েবসাইটে রেকর্ডটি অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে স্বীকৃতিপত্র হাতে পেরে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
প্রেন চ্যুং বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ব্যাপারটা আমার মাথায় আসে। দেখলাম বাংলাদেশে সর্বোচ্চস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী কনক কর্মকারের ভিডিও। তারপর ভাবলাম আমিও চেষ্টা করে দেখি। দুই দিন প্র্যাক্টিস করে ভিডিও বানিয়ে ফেললাম। তারপর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করলাম। এক মাস পর সাড়া দেয় তারা। এরপর আরও এক মাসে পর প্রয়োজন কাগজপত্র সাবমিট করতে বলে।
ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এমন অর্জন সত্যিই অন্যরকম গর্বের ব্যাপার আমাদের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। আমি খবরটা জানতে পারলাম এখন। তবে পরবর্তী সময়ে উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করে এই শিক্ষার্থীকে যতটুকু সম্ভব আমরা অভিনন্দিত করার চেষ্টা করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাইগারদের সামনে জটিল সমীকরণ
পরবর্তী নিবন্ধসঙ্গীত কথামালায় সমাপনী সাংস্কৃতিক সমাবেশ