গায়ে লেখা আগের মূল্য কিনতে হচ্ছে নতুন দামে

অনেক স্থানে মিলছে না ৩ ও ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা দোকানে বাড়তি দামেও মিলছে না ৩ লিটার ও ৫ লিটারের বোতলজাত তেল। এছাড়া ১ ও ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে নতুন নির্ধারিত দামে। অথচ এসব তেলের গায়ে পুরনো দামই লেখা আছে। অর্থাৎ কোম্পানির নতুন তেল সরবরাহের আগেই খুচরা বাজারে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

ভোক্তারা বলছেন, সয়াবিন তেল নিয়ে এখন অরাজকতা শুরু হয়েছে। পাইকারি থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত সবখানে তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। প্রশাসনের এমন নির্বিকার অবস্থা ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ মনে হচ্ছে। অপরদিকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। গতকাল খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকায়। গতকাল নগরীর কাজির দেউড়ির কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা মেলেনি ৩ লিটার ও ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। মিজানুর রহমান নামের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই সয়াবিন তেলের কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তাই বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

রেয়াজুদ্দিন বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মেহেরাব চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, তেলের দাম যতই হোক, ভোক্তাদের কিনতে হবে। ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাম বাড়িয়েছে, এটি মানা যায় না।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন আজাদীকে বলেন, পাইকারিতে ভোজ্যতেলের বাজার এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল। আন্তর্জাতিক বাজার বাড়তির পাশাপাশি দেশে ডলারের দামও বেশি। স্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। তাই সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকট তৈরি করে ইচ্ছেকৃতভাবে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে নিজেরাই তেলের দাম বৃদ্ধি করেছেন। এখানে মনে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে সরকারও অসহায়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে, এটা আমরা মানি। তবে দাম বাড়ার পর থেকে দেশে তেল আসতে তো ২-৩ মাস সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে আজকে দাম বাড়লে কালকে তো দেশে তেলের দাম বাড়ার কথা নয়। এখন প্রশাসনের উচিত বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারি করা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকসার্স এসোসিয়েশন। এছাড়া ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৯৮৫ টাকায় নির্ধারণ করে। অপরদিকে খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১ লিটার ১৮০ টাকা ও পাম তেল ৪২ টাকা বেড়ে ১ লিটার বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুন থেকে ১১০ টাকায় ,সয়াবিন বিক্রয় বাড়াবে টিসিবি
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬