গাড়ি ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার প্রাইভেট কার উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১২ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

একটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রাইভেট গাড়ি ছিনতাই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির একটি চৌকষ টীম। উদ্ধার করা হয়েছে ওই প্রাইভেট কারও। সিআইডি জানিয়েছে, তদন্তে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় গাড়িচোর সিন্ডিকেট শনাক্ত হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত টানা তিনদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়িচোর সিন্ডিকেটের এই ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ। গ্রেপ্তারকৃত ৬ ছিনতাইকারী হল-সীতাকুণ্ডের শফি উদ্দিনের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (২৫), মো. শাহজাহানের ছেলে মো. নিজামুদ্দিন (৩০), আনোয়ারার আবদু শুক্কুরের ছেলে মো. সোহেল, মিরসরাইয়ের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. জাবেদ হোসেন (২৫), সীতাকুন্ডের মো. নুরুল আলমের ছেলে মো. রফিকুল আলম প্রকাশ বাদশা (২৪) ও ঝিনাইদহ জেলার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহিন রেজা।
পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ জানিয়েছেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে চার ব্যক্তি সীতাকুণ্ডের কদমরসুল থেকে পাক্কা রাস্তার মাথায় যাওয়ার জন্য যাত্রীবেশে প্রাইভেট কারে ওঠেন। গাড়ি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ অতিক্রমের পর চালক শাহিনকে জিম্মি করে তারা বায়েজিদ বোস্তামি লিংক রোডে নিয়ে যায়। নির্জন সড়কে রাতের আঁধারে চালককে মারধর করে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি, চালক শাহিনের মোবাইল ফোনটিও তারা নিয়ে গেছে। এই মোবাইলের মাধ্যমে তারা গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। গাড়িটি ফেরত দেয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। ওই ফোনকলের সূত্রে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একে একে ঘটনায় জড়িত চারজনসহ সিন্ডিকেটের মোট ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকার আহছানিয়া পাড়া থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক ফজলুল কাদের চৌধুরী আজাদীকে জানান, ছিনতাইয়ে জড়িত মহিউদ্দিনকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাইয়ের পর সে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গায় চলে যায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকি পাঁচজনকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিজামউদ্দিন ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী। শাহিন রেজা ছাড়া বাকি সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তিনি বলেন, তারা সবাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় ও নগরীতে সংগঠিতভাবে অবস্থান করে। প্রাইভেট কার, সিএনজি টেঙিকে টার্গেট করে। যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে চালককে জিম্মি করে সেটা নিয়ে যায়। পরে ফেরত দেয়ার জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথাইল্যান্ডে ক্যাসিনো সেলিমের ১৩ কোটি টাকা পাচার
পরবর্তী নিবন্ধতিষ্ঠ ক্ষণকাল