মাত্র ৭ বছর বয়স শিশু মুক্তামনির। তার হাসিতে আলোকিত হয়ে উঠত পুরো ঘর। কয়েকদিন আগে একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু গতকাল দুপুরে সব যেন বদলে গেল। চাঁদের গাড়ি চাপায় মুছে গেল শিশু মুক্তামনির হাসি। এতে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গ্রামীণ সড়কে। শিশু মুক্তামনি ওই এলাকার দিনমজুর মো. আজিজুল হকের মেয়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহাজান জানান, ইটবাহী গাড়িটি চালাচ্ছিল একজন কিশোর। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ গাড়িটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, গাড়িটির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, রাউজানে বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে চাঁদের গাড়ি চলাচল করছে। অপরিপক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে।
রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর বলেন, শিশু মুক্তামনির পরিবার এ ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দিতে রাজি হয়নি। তারা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাতে সুপারিশ করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।