মীরসরাইয়ের কাটাছরা ইউনিয়নের ইস্টার্ন সার্কুলার সড়কে কাটাছরা–দুর্গাপুর খালের ওপর ২৮ বছর আগে নির্মিত সেতুটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন এ সেতু দিয়ে। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সীমান্তে পূর্ব কাটাছরা গ্রামে ২৮ বছর আগে নির্মিত প্রায় ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। সেতুর উপরের অংশ ও সাইড ওয়াল ভেঙে দেবে গেছে। সেতুটির স্তম্ভসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এছাড়া কাটাছরা ইউনিয়নের ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসহ আধা কিলোমিটার ইস্টার্ন সার্কুলার সড়কটির ইট উঠে গিয়ে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় মো. মোশারফ হোসেন ও মাওলানা মো. শাহ আলম জানান, গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। যানবাহনসহ কাটাছরা ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করায় সেতুটি ভেঙে পড়ে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অথচ সেতুটি পুণঃনির্মাণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পিকআপ চালক সালাউদ্দিন বলেন, এই সেতু দিয়ে মালামাল নিয়ে যাতায়াত করা খুব কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ইতোমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সেতুটির সংস্কার বা পুণঃনির্মাণ না করলে ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইস্টার্ন সার্কুলার সড়কে কাটাছরা–দুর্গাপুর খালের ওপর নির্মিত সেতুটিসহ এই ইউনিয়নের ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কার বা পুণঃনির্মানের জন্য বারবার আবেদন করেও কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস’ প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই সেতুর কাজ করা হবে।