গার্মেন্টস মালিক মতিউরের ৫ দিনের রিমান্ড

কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধারের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২ জুন, ২০২৫ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পাহাড়তলীর একটি গুদাম থেকে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাড়ে ১৫ হাজার পিস ইউনিফর্ম উদ্ধারের মামলায় একই এলাকার নূর ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্টসের মালিক মতিউর রহমানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের ব্যাংকান্দা এলাকার বাসিন্দা। নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে মতিউর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মংহলাসিন মারমা নামে একজন নূর ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্টসে বিপুল পরিমাণ কুকিচিন আর্মির পোশাক তৈরি করছেনএমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তবে নূর ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্টসের মালিক মতিউর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মতিউর রহমান পুলিশকে জানান, তিনি নূর ফ্যাশন এন্ড গার্মেন্টসের এমডি। মো. শাহেদ নামে একজন তার পার্টনার। তারা দুজনে পার্টনারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে কুকিচিনের পোশাক তাদের কারখানায় গোপনে প্রস্তুত করছিলেন। মংহলাসিন মারমা, মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি ও কুকিচিন আর্মির সদস্যরা গত এপ্রিল মাসে কুকিচিন আর্মির ইউনিফর্ম তৈরি করার জন্য গোপনে কাপড়, সুতা, জিপার, বেলকু, লেবেল ও বাটন দিয়ে যায়। তারা অবৈধভাবে কুকিচিন সদস্যদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চুক্তিতে উক্ত পোশাক প্রস্তুতের জন্য অর্ডার নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মতিউর আরো জানান, মংহলাসিন মারমা ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামানদের মাধ্যমে মূল ফেব্রিঙসহ অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করে তিনি তার ফ্যাক্টরিতে কুকিচিনের সাড়ে ১২ হাজার সেট পোশাক প্রস্তুত ও ৩ হাজার পিস কুকিচিন আর্মির কেমো ফেব্রিঙ বিভিন্ন সাইজের অসম্পূর্ণ কাট পিস, পোশাক ও শার্ট সংরক্ষণ করেন এবং পরে তা এএম ফ্যাশনের ফ্যাশনের মালিক মো. জামাল উদ্দিনের ভাড়াকৃত গোডাউনে রাখেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ তথ্যের ভিত্তিতে গোডাউনটিতে অভিযান চালানো হয় এবং সেখান থেকে উক্ত পোশাকগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের হয়।

পুলিশ জানায়, পাহাড়তলী থেকে সাড়ে ১৫ হাজার পিস উদ্ধারের আগে গত সোমবার নগরীর বায়েজিদ থানাধীন নয়াহাট এলাকার একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। তারও আগে ১৭ মে রাতে অপর একটি কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩০০টি পোশাক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনোরেলের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিমি, চালু হতে পারে চার বছরের মধ্যে
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে আজও ভারি বৃষ্টির আভাস