নগরের আতুরার ডিপো এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মো. ফজলুল হক (২৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে অপহরণ করে ৬ অপহরণকারী। পরে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে দুই দফায় আদায় করে ৭ হাজার টাকা। এছাড়া ফজলুল হকের কাছে থেকে নগদ অর্থের পাশাপাশি বিকাশেও সাড়ে ৭ হাজার টাকা আদায় করে। এরপরও ফজলুল হককে ছেড়ে না দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় অভিযোগ দিলে ফজলুলকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার পাঁচলাইশ থানার সুন্নিয়া মাদ্রাসার সামনে ফজলুল হককে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এর আগে ১৩ অক্টোবর তাকে অপহরণ করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান আজাদীকে বলেন, বিকাশে টাকা নেয়ার পরও ফজলুল হককে ছেড়ে দেয়নি আসামিরা। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিকাশ নম্বর ট্র্যাক করে করে অভিযান চালাই। তখন আসামিরা তাকে ছেড়ে না দিয়ে সিএনজি টেঙি যোগে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের তৎপরতা বুঝতে পেরে তাকে সুন্নিয়া মাদ্রাসার সামনে নামিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা সূত্রে জানা গেছে, ফজলুল হকের বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আতুরার ডিপো বারো আউলিয়া হোটেল এর উপরে থাকেন। চাকরি করেন শেরশাহ তারা গেইট জিরাত শার্ট নামে একটি গার্মেন্টেসে।
ফজলুল হককে অপহরণের ঘটনা তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার (২৫) বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এজাহার দায়ের করেন। এতে বলা হয়, ১৩ অক্টোবর রাতে সোয়া ১১টার দিকে তার স্বামীকে জরুরি কথা বলার নাম করে আতুরার ডিপোর বাসা থেকে বের করে অজ্ঞাতানামা ৬ জন লোক। পরে জোর করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় মারধর করে। একপর্যায়ে মারধর করে তার স্বামীর বিকাশে ৬ হাজার অপহরণকারীদের ব্যবহৃত বিকাশ (০১৮৭৪–২২৬৯২৩) এর মাধ্যমে নিয়ে নেয়। এসময় তাহার তার থাকা নগদ দেড় হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
এজাহার এর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফজলুল হকের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে কল করে বিকাশের মাধ্যমেও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তখন তার স্ত্রী তার অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ (০১৯১৯–২৬৮৪০৩) নম্বরে ২ হাজার টাকা এবং অন্য একটি বিকাশ (০১৬৪৭–৫১৪৭০১) নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠায়।