গায়েব ১,৯১১টি নথির বেশির ভাগ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে

বিচারাধীন মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের ১ হাজার ৯১১ টি মামলার কেইস ডকেট বা সিডি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান। এতে তিনি উল্লেখ করেন, উক্ত কেইস ডকেট গুলি ছিল ২০১৫ সালের পূর্বের ফৌজদারী মামলা সংক্রান্তে, বেশির ভাগ মামলা পূর্বে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তাছাড়া, ফৌজদারী যে কোন মামলার কেইস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকায় আদালতে বিচারাধীন কোন ফৌজদারী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রেস রিলিজে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৬ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে চট্টগ্রাম আদালতে ১ হাজার ৯১১ টি মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডিশীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এ বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং চট্টগ্রাম১ অঞ্চলের জন্য নিযুক্ত মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেইট কোর্টস এর প্রধান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোন এজলাস বা চেম্বার হতে কোন ফৌজদারী মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে ১ হাজার ৯১১ টি কেইস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে। উক্ত কেইস ডকেট গুলি ছিল ২০১৫ সালের পূর্বের ফৌজদারী মামলা সংক্রান্তে, বেশির ভাগ মামলা পূর্বে নিষ্পত্তি হযে গেছে। তাছাড়া, ফৌজদারী যে কোন মামলার কেইস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকায় আদালতে বিচারাধীন কোন ফৌজদারী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে