নির্বাচনের আগে মাঠ ছাড়া করতে সরকার আবারও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ‘গায়েবি’ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ঢাকার মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরের আকবর শাহ ও পাহাড়তলী থানায় নতুন ‘গায়েবি মামলা’ দায়ের করা হয়। নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরীসহ ৪০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানা শ্রমিক দলের সভাপতি সালেহ আহমদ, যুবদল নেতা কুইন্টাল রিভেরিয়ো, বায়েজিদ থানা বিএনপির ফয়েজ আহমেদ, আমিন শিল্পাঞ্চল রউফাবাদের সালামত আলী ও তার ছেলে, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সহ–সভাপতি সোহেল ওসমান মামুন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আরশে আজিম আরিফ, পতেঙ্গা থানা বিএনপির কাজী ইসমাইল, মো. ইকবালসহ ৪০ জনকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কোনো মামলার এফআইআরভুক্ত আসামি নন। তারপরও তাদেরকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়। দলের বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদেরকে বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর কারণ, তারা যাতে নির্বাচনের সময় মাঠে থাকতে না পারেন। গত বছর পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করেছে এখন সেই তালিকা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে নতুন গায়েবি মামলা ও অন্যদিকে পুরাতন গায়েবি মামলার চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার পায়তারা করছে।
নেতৃবৃন্দ ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তার’ বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।