দাদা রাখাল চন্দ্র রুদ্র এক সময় গ্রামে গান করতেন। মা প্রতিমা রুদ্রেরও স্বপ্ন ছিল গান করার। কিন্তু তার সে স্বপ্ন পুরন হয়নি। তবে প্রতিমা রুদ্র স্বপ্ন পুরন করতে চেয়েছিলেন তার মেয়ের মাঝে। মায়ের সে স্বপ্নের পথে হাটছে পাপড়ি রুদ্র। সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকে গানের হাতেখড়ি পাপড়ির। শখের বসে পুজায় গান করা শুরু। এরপর হাটি হাটি পা পা করে সঙ্গীতের পথে হেটে চলেছে চট্টগ্রামের পটিয়ার মেয়ে পাপড়ি। রেডিও টেলিভিশনের পাশাপাশি মঞ্চে এখন নিয়মিত পাপড়ি। এরই মধ্যে তার দুটি মৌলিক গানের ভিডিও বাজারে এসেছে। ২০১৮ সালে দেশী বউ আর ২০২০ সালে প্রানের পাখি নামে আরো একটি মৌলিক গান বাজারে আসে। দুটি গানই বেশ সাড়া জাগিয়েছে। মায়ের স্বপ্ন পুরনে পাপড়ির পাশাপাশি তার বোন সুমি রুদ্রও আছেন গানের জগতে। দু বোন এগিয়ে যাচ্ছে মায়ের স্বপ্ন পুরনের পথে। পাপড়ি জানান, তার লক্ষ্য গানের পথে এগিয়ে যাওয়া। গান নিয়ে থাকার প্রত্যাশা তার। যদিও নিজেকে এখনো গানের একজন ক্ষুদ্র ছাত্র মনে করেন এই কিশোরী। সংগীতের অনেক কিছু শিখতে বাকি রয়েছে তার। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে যাদের কাছে গানের হাতেখড়ি নিয়েছেন পাপড়ি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে পাপড়ি বলেন, আমার গুরুদের দেওয়া শিক্ষাকে সামনে জীবনে কাজে লাগাতে চায়। যখনই সুযোগ পান তখনই কিছু শেখার চেষ্টা করেন পাপড়ি। সমপ্রতি এটিএন বাংলায় চাটগাঁর গানও গেয়েছেন পাপড়ি। ক্লাসিক্যাল গান গাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা পাপড়ি সবার দোয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় সামনের দিকে। থাকতে চায় গানের ভুবনে।