গান আর গল্পে মধুর এক সন্ধ্যা উপহার দিলেন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুরের মূর্ছনা ছড়ালেন মিলনায়তনজুড়ে। আরও একবার তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করলেন সবাইকে। তাকে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানটি যে কারণে হয়ে উঠল ভিন্ন কিছু, পেল ভিন্ন মাত্রা। খবর বিডিনিউজের।
রোববার এমন মধুর এক সন্ধ্যায় তাকে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানটি এজন্য শুধু তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। তার সম্মানে গানও গাইলেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা। রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, নকীব খান, খুরশীদ আলম, ফেরদৌস আরা, পার্থ বড়ুয়া, আগুন একত্রিত হয়ে গাইলেন ‘সে যে কেন এল না’।
দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সংগীতের কিংবদন্তী এই শিল্পী ৭১ বছর পূর্ণ করেন। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এদিন আয়োজন করে ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজনে শিল্পী নিজেও গান পরিবেশন করেন।
অভিনেতা আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে রোববার প্রয়াত লেখক, গবেষক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দেখানো হয় পাঁচ মিনিট দৈর্ঘের সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র।
স্বাগত বক্তব্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, চব্বিশ পরবর্তী সময়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি আমাদের সংস্কৃতির যে ঐশ্বর্য আছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করব। সেই উদ্যোগ থেকেই সংগীতের কিংবদন্তীকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে কথা ছিল সাবিনা ইয়াসমিনকে সম্মাননা দেওয়া হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু আমি যখন অনুষ্ঠানের কথা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জানাই তখন তিনি সিদ্ধান্ত দেন সাবিনা ইয়াসমিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার। স্যার বলেছেন এই সম্মাননায় ওনার সাক্ষর থাকলে উনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেও সম্মানিত হবেন। তাই উনাকে (সাবিনা ইয়াসমিন) রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর শিল্পীকে সম্মাননা তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।












